নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে জাতীয় ও রাজ্য সড়কে শুকোতে দেওয়া হচ্ছে ধান, আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত ট্রাফিক পুলিশের
বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, ইটাহার: প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে ডোন্ট কেয়ার! জাতীয় ও রাজ্য সড়কে ধান শুকোনো চলছেই। ইটাহার থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত জাতীয় সড়কের প্রায় ১৫ কিমি অংশে ফসল শুকোনো হচ্ছে। ফলে রাস্তার দু’পাশ কার্যত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বারবার দুর্ঘটনার পরও কেন এই ছবি পাল্টাচ্ছে না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। প্রশাসনের নজরদারিও নেই বলে অভিযোগ গাড়িচালক সহ যাত্রীদের। ইটাহারের ট্রাফিক ওসি সমীরণ কবিরাজ বলেন, রাস্তার পাশের মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। এরপর না শুনলে বাসিন্দাদের চিহ্নিত করে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
একদিকে ইটাহারের উপর দিয়ে গিয়েছে কলকাতা-শিলিগুড়ি জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে গিয়েছে চাঁচল ভায়া ইটাহার-বালুরঘাট রাজ্য সড়ক। ধান কাটার মরশুম শুরু হতেই জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে ধান শুকোতে দিচ্ছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীদের একাংশ। ইটাহার থানা এলাকার কালোমাটিয়া থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিমি রাস্তাজুড়ে ধান শুকোতে দেওয়া হচ্ছে। চূড়ামণ থেকে ইটাহার পর্যন্ত রাজ্য সড়কেও একই চিত্র। এতে যে কোনও সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখছেন পথচারী, গাড়িচালক, বাইকচালক সহ যাত্রীরা। মির্জাদিঘির শিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন, যেভাবে রাস্তার উপরে বিপজ্জনকভাবে ধান শুকোতে দেওয়া হচ্ছে, তাতে জীবন হাতে নিয়ে বাইক, স্কুটার চালাতে হয়। রাস্তার ধারে অবৈধভাবে নির্মাণ সামগ্রীও রাখা হচ্ছে। পথচারী বাপ্পা ঘোষের বক্তব্য, রাস্তার ধারের বাসিন্দারা এবং কিছু ব্যবসায়ী জাতীয় সড়ককে কার্যত বাড়ির উঠোন বানিয়ে ফেলেছে। প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। ইটাহারের ট্রাফিক পুলিশ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে একাধিকবার সচেতন করা হয়েছে। তারপরেও কেউ কেউ শুনছেন না। এবার আইনি পদক্ষেপের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। নিজস্ব চিত্র