• সার্ভার ডাউন, এসআইআর ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজে সমস্যা
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: সার্ভার ডাউন থাকায় এসআইআর’ এর ফর্ম ডিজিটাইজেশনের কাজ ঠিক মতো করা যাচ্ছে না। সারা দিন ফর্ম সংগ্রহ করার পর রাত জেগে ডিজিটাইলাইজেশনের কাজ করতে হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপে অনেকেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এই সমস্ত নানা অভিযোগ তুলে বিলওদের একাংশ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ব্যানারে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিত সার্ভার ঠিক করা। একসঙ্গে অনেকে সেটি ব্যবহার করায় তা ডাউন হয়ে যাচ্ছে। বিএলওদের চাতক পাখির মতো সার্ভারের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে।  আন্দোলনকারী বিএলও সুবীর সাহা বলেন, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে হবে। একজন বিএলও ফর্ম বিলি ও সংগ্রহ করার পর আবার তথ্য আপলোড করবেন, এমনটা হতে পারে না। কোনও ভুল হলে নির্বাচন কমিশন বিএলওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বিএলওদের দাবি, অনেকেই নিজেদের ফর্ম পূরণ করতে পারছেন না। বিএলওদের লাগাতার তাঁরা ফোন করে যাচ্ছেন। গৃহবধূরা ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অভিভাবক হিসাবে তাঁর কার নাম লিখবেন, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন। অনেকেই ভুলভাবে ফর্ম পূরণ করছেন। আবার সেটা সংশোধন করে জমা নিতে হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, বিএলএ’রা বিএলওদের সঙ্গে ঘুরছেন। তারপরেও ফর্ম পূরণ করতে গিয়ে তাঁরা হোঁচট খাচ্ছেন। ভুল তথ্য দিয়ে অনেকেই ফর্ম পূরণ করছেন। বারবার তাঁদের বোঝানোর পরও কাজ হচ্ছে না। 

    এদিকে নির্বাচন কমিশন ডিজিটাইজেশনের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে ওই কাজ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে। বিএলও বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশনের আরও বেশি সময় দেওয়া উচিত ছিল। অনেক স্কুলের সব শিক্ষক বিএলও’র কাজ করছেন। 

    ওই স্কুলগুলির পড়াশোনা লাটে উঠেছে। তারপর শিক্ষকদের উপর ব্যাপক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। অনেকেই টেকনিক্যাল বিষয়ে দক্ষ নন। তাঁরাই বেশি সমস্যায় পড়ছেন। সার্ভার দিনের বেশির সময়ই ডাউন থাকছে। বিশেষ করে বিকালের পর আর সার্ভার পাওয়া যাচ্ছে না। রাত জেগে কাজ করতে হচ্ছে। আবার পরের দিন সকাল থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে হচ্ছে। বিএলওদের দাবি, কাজের চাপ নিতে না পেরে জেলায় একজন বিএলও মারা গিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন ক্ষতিপূরণ দেয়নি। বিএলও’রা অসুস্থ হয়ে পড়লেও কমিশনের কোনও হেলদোল নেই।
  • Link to this news (বর্তমান)