• অশান্ত বাংলাদেশ, নদীয়ার সীমান্তে হাই অ্যালার্ট জারি
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: দিল্লি বিস্ফোরণ এবং বাংলাদেশের অশান্তির কারণে নদীয়া সীমান্তেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিএসএফ। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ফোর্সও। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু নদীয়ার সীমান্তে বাড়তি ৪০০ জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে‌। চলছে কড়া টহলদারিও। গত এক মাসেই আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘনকারী ১০০ জনকে পাকড়াও করেছে বিএসএফ। তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে পুশব্যাক করে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কাউকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, এসআইআর আতঙ্কেরও প্রভাব পড়েছে সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলোতে। বহু অনুপ্রবেশকারী পাততাড়ি গুটিয়ে পালাতে চাইছে। 

    বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনিভাবে সীমান্ত দিয়ে পারাপারের চেষ্টা করলে তাদের বিজেবির হাতে তুলে দেওয়া হয়‌। মূলত এটা করা হয়, যখন সেই অনুপ্রবেশকারীর পরিচয়পত্র জানা যায়।‌ আবার অনেক সময় স্থানীয় পুলিশের হাতেও তুলে দেওয়া হয়। তবে কেউ চোরাগোপ্তা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে‌ তাদের পুশব্যাক করে বাংলাদেশে‌ ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়‌। এই তালিকায় চোরাপথে ভারতে থেকে বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা করা লোকজনও রয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকতে চাওয়া লোকজনও রয়েছে। সীমান্তে সন্দেহজনক কারও খোঁজ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালানো হচ্ছে। অতীতে কোনও অনুপ্রবেশকারীর খোঁজ পেলে তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যোগাড় করা হতো সময় নিয়ে। কিন্তু এখন সন্দেহভাজন কাউকে মনে করলেই তার সম্পর্কে দ্রুত তথ্য সংগ্রহ করছেন গোয়েন্দারা। নিয়ম করে সীমান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও যোগাযোগ আরও নিবিড় করছে বিএসএফ।  বিএসএফের এক আধিকারিকের কথায়, অনেকেই ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। কিন্তু তারা সফল হচ্ছে না। আমরা সীমান্তের নিরাপত্তা আরও জোরদার করেছি। অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।‌ নদীয়া জেলায় একশো কিলোমিটারের বেশি এলাকা বাংলাদেশের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে। হাঁসখালি, ধানতলা, কৃষ্ণগঞ্জ, চাপড়া, তেহট্ট, হোগলবেড়িয়া, মুরুটিয়া থানায় কাঁটাতার রয়েছে।‌ দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকেই এইসব সীমান্ত এলাকায় আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর মধ্যেই মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। সেই ইস্যুতে বাংলাদেশ এখন জ্বলছে। আতঙ্কে রয়েছেন আওয়ামী লিগের নেতা ও কর্মীরা। অতীতে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সময় দলের অনেকেই চোরাই পথে ভারতে চলে এসেছিলেন। বর্তমান সেই আশঙ্কাই দেখা দিচ্ছে।-ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)