সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: ‘বর্তমান’-এর খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল নবদ্বীপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন যাবত এক শ্রেণির দোকানদার হাসপাতাল চত্বরে রুটি-ঘুগনি, মশলামুড়ি, পেয়ারা প্রভৃতি খাবারের অস্থায়ী দোকান পেতে ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। তাদের সরিয়ে দেওয়া হল। অন্যদিকে টোটো ও রিকশ, চারচাকা গাড়ির চালকরা অবৈধ ভাবে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে গাড়ি রাখছিলেন। সেসবও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তবে শুক্রবার দুপুরে দেখা গেল বেশ কিছু টোটো এখনও পার্ক করে রাখা আছে হাসপাতাল চত্বরে।
উল্লেখ্য, এই সব অস্থায়ী দোকান এবং টোটোর জন্য হাসপাতাল যাতায়াতের রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে পড়ছিল। চিকিৎসা করাতে আসা মুমূর্ষু রোগী ও তাঁদের পরিবারকে প্রতিদিনই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, হাসপাতালে চত্বরের থাকা অস্থায়ী দোকান এবং বেআইনি গাড়ি পার্কিং সরিয়ে দেওয়ার। বর্তমান পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অবশেষে সক্রিয় হল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল চত্বরে থাকা অস্থায়ী দোকান সরিয়ে দিল।
হাসপাতালে বাইরে দোকান করা অমর ঘোষ, অনির্বাণ ঘোষরা জানান, কাগজে খবর বের হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে আমরা খুবই খুশি হয়েছি। আমরা চাই এটা যেন বজায় থাকে। আবার যেন নতুন করে কেউ দোকান নিয়ে না বসে।
এ প্রসঙ্গে নবদ্বীপ পুরসভার স্থানীয় কাউন্সিলার ঝন্টুলাল দাস বলেন, এই হাসপাতালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে রোগী এবং তাদের পরিবারের জন্য মা ক্যান্টিন চালু হয়েছে। সেই ক্যান্টিন থেকে প্রতিদিন ৫ টাকার বিনিময়ে খাবার মিলছে। এরপরে হাসপাতাল চত্বরে ভেতরে খাবারের দোকান লাগে না। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের মতে এটা দেখভাল করার দায়িত্ব জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাউকে নিতে হবে। সাধারণ মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে।