• মেদিনীপুর শহরজুড়ে আবর্জনা, পুরসভার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানুষ
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে আবর্জনা। চতুর্দিকে জঞ্জালের স্তূপ। এই কি কোনও সভ্য শহরের রূপ! ক্ষোভে ফুঁসছে মেদিনীপুর শহরবাসী। এই পরিস্থিতি নিয়ে সরব বিজেপিও। সময়মতো আবর্জনা পরিষ্কার না হওয়ায় জন প্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শহরবাসীর কথায়, শহরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে থাকা আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধ বেরচ্ছে। এর থেকে নানা রোগের জীবাণু ছড়াতে পারে। জন প্রতিনিধিদের বারংবার জানিয়েও লাভ হয়নি। পুরসভার আধিকারিকদের কথায়, কয়েকশো সাফাই কর্মী কাজ করেন। তাঁদের বেতন সময়মতো হচ্ছে না। তবে তা সত্ত্বেও কাজ করছেন কর্মীরা। এছাড়া শহরের আবর্জনা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধিদের ভূমিকা খুব নেতিবাচক। আবর্জনার স্তূপের সামনে দিয়ে হাজার বার যাতায়াত করলেও, বেশকিছু জন প্রতিনিধি আবর্জনা পরিষ্কার করানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। 

    মেদিনীপুরের বাসিন্দা রাজীব দাস বলেন, প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করে পারেনি পুরসভা। এছাড়া পুরসভার তরফে বালতি দিলেও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলেন অনেকেই। 

    পুরসভার বহু কাজে গাফিলতি রয়েছে, যা জনপ্রতিনিধিরাও মানবেন। এছাড়া মানুষের মধ্যেও সচেতনতার অভাব রয়েছে। 

    প্রসঙ্গত, গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি শহরকেও ঢেলে সাজাতে চাইছে রাজ্য সরকার। জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরকে সাজানোর নির্দেশ দিয়েছেন। শহরকে সাজাতে রাজ্যের তরফে সহযোগিতা করা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মেদিনীপুর শহরের নানা দিকে আবর্জনার স্তূপ হয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র নগর, ধর্মা, রাঙ্গামাটি, সিপাই বাজার, রাজাবাজার সহ ২৫টি ওয়ার্ডে আবর্জনার স্তূপ রয়েছে। বাড়ি বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে রাস্তার পাশে রাখা হচ্ছে, কিন্তু সেখান থেকে  আর সময়মতো আবর্জনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। 

    পশ্চিম মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন, পুরসভার কাজ করার কোনও ইচ্ছে নেই। বাইরের লোকজন এই শহরে এসে বদনাম করছে। বাড়ির সামনে আবর্জনা ফেলে রাখলেও উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার লোক নেই। পুরসভা চালাতে না পারলে ছেড়ে দিক। 

    মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, বিজেপির অভিযোগ করা ছাড়া কোনও কাজ নেই। অনেক সময় রাতভর আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে। মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)