সংবাদদাতা, রামপুরহাট: কোথাও টিউবওয়েল থাকলেও তা দিয়ে জল পড়ে না। আবার কোথাও নলকূপ মরচে ধরে ভেঙে গিয়েছে। ফলে মুরারই-১ ব্লকের রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিন্তু টিউবওয়েল সারানোর জন্য যথেষ্ট টাকাই পঞ্চায়েতের কাছে নেই। ফলে এলাকার মানুষ বারবার সমস্যার কথা জানালেও লাভ হয়নি। এবিষয়ে বিডিও বীরেন্দর অধিকারী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওই এলাকার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।
রাজগ্রামের পূর্বপাড়া, পশ্চিমপাড়া, হাটতলা পাড়া প্রভৃতি এলাকায় প্রায় ২০টির বেশি টিউবওয়েল রয়েছে। বেশিরভাগ টিউবওয়েল এখন অকেজো হয়ে পড়েছে। কোথাও টিউবওয়েল ভেঙে পড়ছে। ফলে ভাঙা অংশ দিয়ে নালার নোংরা জল মিশছে। এলাকায় পানীয় জলের বিকল্প কোনও উৎস নেই। ফলে সেই নোংরা জলই গ্রামবাসীদের পান করতে হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী অচিন্ত্য ঘোষ বলেন, জনবহুল হাটতলায় একটি টিউবওয়েল সচল রয়েছে। কিন্তু মরচে ধরে সেটি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। ভাঙা অংশ দিয়ে নিকাশিনালার জল ঢুকছে। সেই জলই মানুষ পান করছেন। ফলে এলাকায় রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এলাকার আরও অনেক টিউবওয়েল অকেজো। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলেও লাভ হচ্ছে না।
রাজগ্রামের পূর্ব ও পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দাদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। ওই দুই এলাকার বেশিরভাগ টিউবওয়েল খারাপ হয়ে পড়ে আছে। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই জলকষ্ট চলছে। যাঁদের পাম্প রয়েছে, তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রামবাসীদের অনেককে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আবার অনেকে দূর থেকে জল আনছেন। কেউ কেউ জল কিনেও খাচ্ছেন। পাথুরে এলাকা হওয়ায় গরম পড়তেই রাজগ্রামে ভূগর্ভস্থ জলের স্তর নামতে শুরু করে। ফলে এলাকার মানুষ পর্যাপ্ত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হন। এবছর ভালো বৃষ্টি হয়েছে। শীতের সময় তেমন জলকষ্ট হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অকেজো টিউবওয়েলগুলি না সারানোয় এই সময়েও এলাকায় পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। রাজগ্রামের উপপ্রধান রমেশ ভকত বলেন, পঞ্চায়েতের তহবিলে কোনও টাকা নেই। কলমিস্ত্রির লক্ষাধিক টাকা বকেয়া আছে। সেই টাকা না মেটানো অবধি কাজ করতে চাইছেন না। পঞ্চায়েতে টাকা এলেই সমস্ত টিউবওয়েল সারানো হবে। নিজস্ব চিত্র