• এমবিবিএস ছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় মেডিকেলে, অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষকের পদত্যাগ
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বহিরাগত কেউ নয়! স্বয়ং শিক্ষকের হাতে যৌন হেনস্তার অভিযোগে শুক্রবার বেলায় উত্তাল হয়ে উঠল কলকাতা মেডিকেল কলেজ চত্বর। কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের এক সিনিয়র অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এমবিবিএস পড়ুয়ারা। শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যক্ষ অফিসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ করেছেন ওই অধ্যাপক। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আরও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং অশালীন আচরণ করছিলেন। ক্লাস এবং ক্লাসের বাইরে প্রতি বছর প্রথম বর্ষের বহু ছাত্রী তাঁর নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। বারবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ ছিল মেডিকেলের অ্যানাটমি বিভাগের এক মহিলা সহকারী অধ্যাপকের দিকেও। তাঁদের অভিযোগ, ওই শিক্ষিকা নিজে একজন মহিলা চিকিৎসক হয়ে ওই নিগ্রহের প্রতিবাদ করেননি। তার বদলে তিনি ‘নিগৃহীতা’ ছাত্রীকে পরামর্শ দেন, নিজেকে বাঁচাতে তাঁর উচিত শেষ বেঞ্চে গিয়ে বসা। অভিযুক্ত অধ্যাপকের ‘বিষ নজর’ থেকে বাঁচার জন্য তিনি এই পরামর্শ দিয়েছিলেন। বিক্ষোভ চলাকালীম ছাত্রছাত্রীরা বারবার বলতে থাকেন, ‘বিচার চাই, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। ক্রমেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এদিকে, ঘটনাবলীর বিবরণ দিয়ে তিনটি দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে মেডিকেল কলেজ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। সেগুলি হল—এক, 

    বিভাগীয় পদ থেকে ওই অধ্যাপককে সরিয়ে দেওয়া। দুই, মেডিকেল কলেজের ইন্টারনাল কমপ্লেইন কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্ত। তিন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও অভিযুক্ত শিক্ষককে কোনও ক্লাস নিতে না দেওয়া। পাশাপাশি, ওই মহিলা শিক্ষিকা চিকিৎসককে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি ওঠে। অধ্যক্ষ অফিসে কয়েক ঘণ্টার ঘেরাও বিক্ষোভ শেষে অভিযুক্ত অধ্যাপক পদত্যাগপত্র জমা দেন। সেখানে তিনি আবার পাল্টা বিচার ও তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত অধ্যাপক বলেন, ‘জানি, কী বিষয়ে জানতে চাইছেন। কিন্তু ওই সংক্রান্ত কথা বলার মতো মানসিক অবস্থা আমার নেই।’ মেডিকেলের উপাধ্যক্ষ ডাঃ অঞ্জন অধিকারী বলেন, ‘মারাত্মক অভিযোগ। অভিযুক্ত অধ্যাপককে আগেও সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমরা তা স্বাস্থ্যভবনকে জানিয়েও দিয়েছি।’
  • Link to this news (বর্তমান)