• এসআইআর: নজরদারির প্রশ্নে তৃণমূল নেতৃত্বের তোপে হুগলি, ডাহা ফেল চণ্ডীতলা, সপ্তগ্রাম
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: এসআইআর নিয়ে নজরদারির জন্য বিধানসভাভিত্তিক ওয়ার রুম বা যুদ্ধশিবির করা নিয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তোপে হুগলি জেলা। শাসকদলের জেলা নেতাদের রীতিমতো পারফরম্যান্স রিপোর্ট পাঠিয়ে সতর্ক করেছে নেতৃত্ব। একাধিক বিধানসভা এলাকায় সাফল্যের সঙ্গে ১০০ শতাংশ কাজ করলেও একাধিক বিধানসভায় সাফল্যের হার শূন্য। ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দলের হুগলি জেলার কাজ পর্যবেক্ষণের পর দলীয় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই রিপোর্ট পোস্ট করে সতর্ক করেছে নেতৃত্ব। দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, নেতৃত্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ চণ্ডীতলা ও সপ্তগ্রাম বিধানসভা নিয়ে। ওই দুই বিধানসভা এলাকায় শিবির করার নিরিখে দক্ষতা শূন্য-পাঁচ শতাংশ বলা হয়েছে। উদ্বেগের তালিকায় রয়েছে বলাগড়ও।

    নেতৃত্বের ওই ‘সতর্কবার্তা’ সামনে আসতেই দলের অন্দরে হইচই পড়ে গিয়েছে। গোটা বিষয়টিকে দু’ভাবে ব্যাখ্যার চেষ্টা চলছে। যাতে ডামাডোল আরও বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে। দলের একাংশের দাবি, স্থানীয় নেতৃত্বের দক্ষতার অভাবেই কয়েকটি বিধানসভা এলাকায় এসআইআরে ঠিকমতো নজরদারি করা যায়নি। তাই তাঁরা শীর্ষ নেতৃত্বকে তথ্য দিতে পারেননি। অন্য একটি মহলের দাবি, কাজে যে অনীহা রয়েএছ, তা ধরা পড়েছে নেতৃত্বের চোখে। এনিয়ে তৃণমূলের হুগলি জেলার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলব না। তবে এটুকু বলতে পারি, সমস্যা চিহ্নিত হলে সমাধানের পথ প্রশস্ত হয়। আমাদের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় আছেন। এসআইআরের নজরদারি নিয়ে অভিযোগ তোলার সুযোগ আমরা রাজ্য নেতৃত্বকে দেব না।

    দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শিবির নিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ওই শিবির মারফত বিএলএ-২ অর্থাৎ দলীয় নজরদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার নির্দেশ ছিল। দলের রিপোর্ট অনুসারে সেই কাজে সবচেয়ে পিছিয়ে সপ্তগ্রাম ও চণ্ডীতলা। এগুলি রয়েছে রেড জোনে। এখানে কাজ প্রায় হয়নি। বলাগড়, চাঁপদানি ও চন্দননগর নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। 

    সবচেয়ে ভালো কাজ হয়েছে ধনেখালিতে। সিঙ্গুর, চুঁচুড়া, পাণ্ডুয়া, উত্তরপাড়া নিয়েও সন্তুষ্ট নেতৃত্ব। শ্রীরামপুরে কাজ ভালো হলেও আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে, এমনই ইঙ্গিত রয়েছে রিপোর্টে। নেতৃত্বের দাওয়াই, ওয়ার রুম বা যুদ্ধশিবির করতেই হবে। প্রত্যেক বিএলও-২কে প্রতিদিন ফোন করে তথ্য নিতে হবে এবং রাজ্য অফিসকে সেই তথ্য জানাতে হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)