সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ ও বজবজ: গ্রামের আটচালা শীতলা মন্দিরের দালানে বসে ইনিউমারেশন ফর্ম জমা নিচ্ছেন বিএলও। এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল কাকদ্বীপের বনঘেরি এলাকার ৯৩ নম্বর বুথে। এ বিষয়ে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে বনঘেরির ৯৩ নম্বর বুথের বিএলও বীরেন দাস কান্ডার গ্রামের শীতলা মন্দিরের দালানে বসে ইনিউমারেশন ফর্ম জমা নিচ্ছিলেন। সেই সময়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে ওই বিএলওর বিরুদ্ধে বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়। গ্রামের এক বাসিন্দা সারথি দাস বলেন, ‘বিকেলের দিকে মন্দিরে গিয়েই ইনিউমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছি। আমি একা নই, অনেকেই ওখানে গিয়ে জমা দিয়েছেন।’ যদিও বিএলও বীরেনবাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ফর্ম সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। কয়েকজন বললেন, ওখানেই অনেকে ফর্ম জমা দিতে চান। সময় বাঁচানোর তাগিদে আমি বলেছিলাম, আপনারা দিতে চাইলে আমি নিতে পারি। কিন্তু আমি দালানে বসে সবার ফর্ম জমা নিইনি। প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়েই ফর্ম দিয়েছি এবং সংগ্রহ করছি। স্বচ্ছতার সঙ্গেই আমি কাজ করার চেষ্টা করছি।’ কাকদ্বীপের বিডিও বলেন অভিষেক মিশ্র বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। বীরেনবাবুকে বলে দেওয়া হয়েছে, উনি যেন বাড়ি বাড়ি গিয়েই ফর্ম জমা নেন।’
এদিকে, ইনিউমারেশন ফর্ম জমা নেওয়ার সময় ভোটারের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন এক বিএলও। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছে। মহেশতলা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ২৪৪ নম্বর বুথের বিএলও সন্তু চক্রবর্তী সায়ন্তন সিনহা নামে এক ভোটারের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। নিজস্ব চিত্র