• দিনের শুরুতে শহরে অনুভূত কম্পন, বহুতল থেকে পথে নামলেন অনেকে
    বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কোনও মতে নাকে-মুখে গুঁজে শহরবাসী তখন সবেমাত্র অফিসে পৌঁছেছেন। কেউ কম্পিউটার চালু করে চেয়ারে বসেছেন, কেউ দৌড়ে গিয়ে সবেমাত্র অফিসে হাজিরা দিয়েছেন। ঠিক ১০টা বেজে ১০ মিনিট নাগাদ চারপাশ থেকে এমন সব মন্তব্য উড়ে এল, ‘কেমন যেম মাথা ঘুরছে’, ‘ভূমিকম্প হল কি?’ ভূমিকম্প নিশ্চিত হয়ে অনেকেই বহুতল থেকে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। তারপর সোশ্যাল মিডিয়া, খবরে চোখ রাখতেই সকলে একেবারে একশোভাগ নিশ্চিত, ভূমিকম্পই হয়েছে! 

    পার্ক স্ট্রিটের চ্যাটার্জি ইন্টারন্যাশনাল হোক কিংবা সল্টলেক-নিউটাউনের আইটি সেক্টর, সর্বত্র কর্মীরা রাস্তায় নেমে এসেছিলেন। সল্টলেকের এক আইটি কর্মীর কথায়, আচমকাই দেখি, অফিসের টিউব লাইট, টেবিলে রাখা জলের বোতল কাঁপতে শুরু করে। আমরা সকলে নীচে নেমে আসি। দক্ষিণ কলকাতার বেশকিছু আবাসনের বাসিন্দারাও কম্পন অনুভূত হতেই রাস্তায় নেমে আসেন। সল্টলেক, নিউটাউন, দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন অংশে যেমন, গড়িয়াহাট, যাদবপুর, গড়িয়া, বেহালা, হরিদেবপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, বরানগরসহ উত্তর শহরতলিরও বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই ভূমিকম্প অনুভব করেছেন। উত্তর কলকাতার এক বাসিন্দার বক্তব্য, বালতিতে রাখা জল আচমকাই নড়তে দেখছিলাম। সেইসময় বুঝতেও পারিনি যে ভূমিকম্প হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার দেবস্মিতা সরকার বলছিলেন, ‘সবে অফিসে এসে চেয়ারে বসেছিলাম। কেমন যেন মাথা ঘুরে উঠল। প্রথমে বুঝতেই পারিনি। তারপর সকলে চিত্কার করতে শুরু করে, ভূমিকম্প হচ্ছে। তখন ব্যাংকে গ্রাহকরাও ছিলেন। ক্যাশবাক্সে চাবি দিয়ে সকলে বাইরে বেরিয়ে আসি।’ দক্ষিণ কলকাতার কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা হরনাথ দাস বলছিলেন, ‘সেইসময় বাড়িতেই ছিলাম। বন্ধ সিলিং ফ্যান নড়ছিল। তারপর বাইরে বেরিয়ে দেখলাম, পাখিরা একগাছ থেকে অন্য গাছে উড়ে যাচ্ছে। খুব ডাকাডাকি করছিল।’ আবার কলকাতা শহরের অনেক বাসিন্দাই জানিয়েছেন, ওই সময় তাঁরা রাস্তায় কিংবা বাসে-ট্রেনে ছিলেন। তাঁরা ভূমিকম্প একেবারে অনুভব করতে পারেননি। 
  • Link to this news (বর্তমান)