ধৃত চার জনকে পৃথক জেরায় মিলেছে ফ্ল্যাটে মারধরের তথ্য
বর্তমান | ২২ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিল্যাকে নিউটাউনের ফ্ল্যাটেই মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে একাধিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। ‘স্বঘোষিত সোনা চোর’ আগেই স্বীকারোক্তি দিয়ে দাবি করেন, ওই ফ্ল্যাটে বিডিও-সহ কয়েকজন মিলে স্বপনবাবুকে মারধর করেছিলেন। তিনি নিজের চোখেই দেখেছেন সেই নৃশংসতা! এই কাণ্ডে ধৃত চারজনকেই পৃথকভাবে জেরা করেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, প্রত্যেকেই কার্যত স্বীকার করেছেন, গত ২৮ অক্টোবর নিউটাউনের ফ্ল্যাটে মারধর করা হয়েছিল স্বপনবাবুকে। তারপরই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু, কার নির্দেশে মারধর? কার নির্দেশে স্বপনবাবুর পশ্চিম মেদিনীপুরের বাড়িতে যাওয়া, কার নির্দেশে ফ্ল্যাট থেকে দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলা হয়েছিল যাত্রাগাছির কাছে? ধৃতদের জেরা করে এই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছে পুলিশ।
স্বপনবাবুকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়াও চলছে। এর মধ্যে পুলিশ ও কমিশনারেটের গোয়েন্দা শাখা বিডিও-ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার তুফান থাপা, বিডিওর গাড়িচালক রাজু ঢালি, বিডিও-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কোচবিহারের সজল সরকার এবং বিডিও-ঘনিষ্ঠ সজলের গাড়িচালক বিবেকানন্দ সরকার ওরফে সোনাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি হেপাজতের পর তুফান ও রাজু বর্তমানে জেল হেপাজতে রয়েছে। সজল ও বিবেকানন্দ বর্তমানে পুলিশি হেপাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, এই চারজনই স্বীকার করেছে অপহরণ করে নিয়ে আসার পর নিউটাউনের ফ্ল্যাটেই মারধর করা হয়েছিল স্বপনবাবুকে।
ওই ফ্ল্যাটটি বিডিওর বলেই দাবি করেছিলেন, ‘স্বঘোষিত সোনা চোর’। তা খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। যে দুই রহস্যময়ী মহিলার যোগ মিলেছিল, তাদেরও জেরা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুলিশ নিউটাউনের এবি ব্লকের ফ্ল্যাট থেকে যাত্রাগাছিতে দেহ উদ্ধারের স্থান পর্যন্ত বৃহস্পতিবার ‘জিয়ো ম্যাপিং’ করেছে। ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, নিউটাউনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও পুলিশ ঘটনাস্থলে জিয়ো ম্যাপিং করেছিল।