• ‘SIR’-এর কাজ সময়ে শেষ করতে নজরে জেলাশাসকরাও
    এই সময় | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • এই সময়: বঙ্গে ভোটার তালিকার স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনের (সার) কাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে শুধু বুথ লেভেল অফিসাররাই নন, নির্বাচন কমিশনের স্ক্যানারে রয়েছেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকরাও। শুক্রবার নিউ টাউনে বিধানসভা ভোটের জন্য প্রথম দফার ইভিএম চেকিং সংক্রান্ত কর্মশালায় দেশের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী সংশ্লিষ্ট সব আধিকারিকদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছেন। এই কর্মশালায় রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।

    সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ‘সার’ কোথায় কেমন চলছে, তা নিয়ে জেলাশাসকদের রিপোর্ট সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। জেলাশাসকদের উদ্দেশে জ্ঞানেশ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘সার’-এর সময়সীমা কোনও ভাবেই পিছোবে না। যদিও বিএলও–দের কাজের চাপের প্রসঙ্গ টেনে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছিল জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের তরফে।

    পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী মনোজ আগরওয়াল বিএলও–দের কাজের চাপের কথা আংশিক সত্যি বলে স্বীকার করে নেন। তাঁর কথায়, ‘চাপ তো একটু আছেই। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতেই হবে। পাশের রাজ্য বিহারেও তো সার হয়েছে। আমরা কেন পারব না?’ তিনি জানান, রাজ্যে কোনও বুথে সর্বোচ্চ ভোটার সংখ্যা ১২০০ হলেও অধিকাংশ বুথেই গড় ভোটার সংখ্যা প্রায় ৮০০। ফলে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাজ এগোতে হবে।

    সূত্রের খবর, ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার এ দিন বৈঠকে জেলাশাসকদের বলেন, ‘সার-এর কাজে কোনও স্তরেই গাফিলতিও বরদাস্ত করা হবে না। শুধু বিএলও নন, জেলাশাসকদের ভূমিকার উপরেও নজর থাকছে।’ তিনি মেনে নেন, বিএলও-দের বাড়তি চাপ থাকবে। তাই আগে ফর্ম ফিলআপের কাজ শেষ না হলে ডিজিটাইজ়েশন–সহ অন্যান্য কাজ শেষ করতে সমস্যা হবে। বৈঠকে ২৫ নভেম্বর ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে কমিশন।

    জ্ঞানেশ ভারতীর সাফ কথা, বিএলও–রা গাইডলাইন ভাঙলে শাস্তি হবে। যদিও অধিকাংশ বিএলও অত্যন্ত ভাল কাজ করছেন। পরিশ্রম করছেন। ৯৯ শতাংশ বিএলও এই দলে। যাঁরা নিয়ম মানছেন না, তাঁদের আগে শো–কজ, তারপরেও কাজ না–হলে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বিএলও–রা যাতে গাইডলাইন মেনে কাজ করেন, তা দেখার দায়িত্ব জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের বলে জানান ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার।

    এ দিনই উত্তর কলকাতার বেলেঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের সাত বিএলও শো-কজে়র জবাব দিয়েছেন। সূত্রের দাবি, ডিজিটাইজ়েশনের শ্লথ গতির জন্য বিএলও অ্যাপের সমস্যাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। চিঠিতে নিয়ম মেনে দ্রুত কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতিও তাঁরা দিয়েছেন।

    এ দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও নিউ টাউনে এক প্রতিনিধিদল নিয়ে জ্ঞানেশ ভারতীর সঙ্গে দেখা করে তিন জেলার জেলাশাসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নেতৃত্বের চাপে এই তিন জেলার জেলাশাসক বিএলও–দের অ্যাপের ওটিপি রাজনৈতিক দলের নেতাদের হাতে দিতে চাপ তৈরি করছেন, যা অনৈতিক। গত বিধানসভা ভোটে দেখা গিয়েছে, ওয়েব ক্যামেরা নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল। তার তদন্তের ভার সিবিআইকে দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।’

  • Link to this news (এই সময়)