• টেরর ডক্টরের ঘরে রাখা আটা তৈরির কল ব্যবহার করেই তৈরি হতো বোমা বানানোর রাসায়নিক!
    এই সময় | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • দিল্লির লালকেল্লা বিস্ফোরণের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিস্ফোরক তৈরির জন্য ইউরিয়া পেষাই করতে আটার কল ব্যবহার করত জঙ্গি-চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিল গনাই । হরিয়ানার ফরিদাবাদের এক গাড়ি চালকের বাড়িতেও রাখা হয়েছিল সেই যন্ত্র। তদন্তকারীদের দাবি, মুজাম্মিল আটার কলে ইউরিয়া গুঁড়ো করত। অন্য একটি যন্ত্রের মাধ্যমে তা পরিশোধন করত। তারপরে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি থেকে চুরি করা রাসায়নিকের সঙ্গে তা মিশিয়ে বিস্ফোরক তৈরি করত।

    লালকেল্লা বিস্ফোরণের আগের দিনেই ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক। যে ঘর থেকে তা উদ্ধার হয় তা ভাড়া নিয়েছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা এলাকার বাসিন্দা মুজাম্মিল । সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে ওই আটা কল।

    জানা গিয়েছে, ওই মেশিন প্রথমে এক ট্যাক্সি চালকের বাড়িতে রেখেছিল মুজ্জামিল। ওই চিকিৎসক যে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল সেখান থেকে একটি আটার কল, একটি ধাতু গলানোর যন্ত্র এবং আরও কিছু ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। 

    সূত্রের খবর, ওই ট্যাক্সি চালক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁকে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন যে বোনের বিয়েতে উপহার দেওয়ার জন্য সেগুলি নিয়ে আসা হয়েছে। পরে সেগুলি নিজের কাছে নিয়ে গিয়েছিল মুজাম্মিল। সেগুলি বোমা তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয় বলে দাবি তদন্তকারীদের।

    দিল্লির ঘটনার তদন্ত করছে NIA। তদন্তকারীদের ওই ট্যাক্সি চালক জানিয়েছেন, প্রায় চার বছর আগে ছেলের চিকিৎসার জন্য আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন। তখন মুজাম্মিল গনাইয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। চালককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও গিয়েছে।

    ওই আটা কলেই ইউরিয়া ঘষে মিহি গুঁড়োয় পরিণত করে ইলেকট্রিক মেশিনে তা আলাদা করা হতো বলে জেরায় মুজাম্মিল স্বীকার করেছে বলেও দাবি তদন্তকারীদের । দীর্ঘ দিন ধরে এই ভাবেই বিস্ফোরক মজুত করছিল ওই চিকিৎসক।

    আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা করে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল সন্দেহভাজন জঙ্গি-চিকিৎসকরা। লালকেল্লায় হামলার প্রস্তুতি চলছিল প্রায় ৩ বছর ধরে। গত ১০ নভেম্বরের ওই হামলায় মৃত্যু হয় ১৫ জনের। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ‘হোয়াইট কলার মডিউল’।

  • Link to this news (এই সময়)