তিনি পেশায় চিকিৎসক। সাধারণ মানুষের ধারনা, তিনি হয়তো স্টেথো গলায় ঝুলিয়ে প্রাণ বাঁচাতে দিনরাত এক করে দেবেন। কিন্তু দিল্লি বিস্ফোরণের যোগসূত্র ধরে গোয়েন্দাদের রেডারে আসা চার চিকিৎসকের কার্যকলাপ চমকে দিচ্ছে গোয়েন্দাদেরও। উমর উন নবি, মুজাম্মিল শাকিল, শাহিন শহিদ, মুজফ্ফর আহমেদের নাম জড়িয়েছে ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার সামনে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনায়। প্রত্যেকেই যুক্ত ছিলেন আল ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে। এ বার চিকিৎসক মুজাম্মিল শাকিলের বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। সূত্রের খবর, মুজাম্মিল সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কিনেছিলেন একে-৪৭। সেই অস্ত্র পরে পাওয়া গিয়েছিল অন্য অভিযুক্ত আদিলের লকারে। বিস্ফোরণের তদন্ত করছে NIA।
এখনও পর্যন্ত তদন্তে উঠে আসা তথ্য অনুযায়ী, মুজাম্মিলের হ্যান্ডলার ছিল মনসুর নামে একজন। অন্যদিকে, লালকেল্লা সংলগ্ন এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সুইসাইড বম্বারের ভূমিকায় থাকা উমরের মাথার উপরে ছিল হাসিম নামে একজন। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, উমর অনলাইনে উগ্রবাদী মতামত সম্পর্কে জানতে শুরু করেন। সেখান থেকেই তিনি খোঁজখবর নিতেন বিস্ফোরকের। বিস্ফোরণের ছক বাস্তবায়িত করার জন্য একটি ফ্রিজও কিনেছিলেন উমর। সেখানেই তিনি বিস্ফোরক রাখতেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লা সংলগ্ন মেট্রো স্টেশন লাগোয়া এলাকায় একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে আশেপাশের গাড়িগুলিতেও আগুন লেগে যায় এবং মৃত্যু হয় ১৫ জনের। আহত হন একাধিক ব্যক্তি।