• কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন অনুব্রতর
    আজকাল | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘‌আজ আমার জন্মদিন তা খেয়ালই ছিল না। মেয়ের কথায় মনে পড়ল। তারপরেই জন্মদিন উদযাপন পর্ব শুরু হল সকাল থেকেই।’‌ শুক্রবার ২১ নভেম্বর নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে এ কথা বলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নিজের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যস্ত থাকায় জন্মদিনের কথা ভুলে গিয়েছিলেন, এমনটাই সরল স্বীকারোক্তিতে তিনি জানান। 

    শুক্রবার ৬৮ বছরে পা রাখলেন তৃণমূলের এই নেতা। সকালেই মেয়ের উদ্যোগে বাড়িতে কেক কাটার আয়োজন করা হয়। এরপর বিকালে তিনি উপস্থিত হন বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে। সেখানে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অনুগামী ও সমর্থকদের ভিড় ছিল উপচে পড়া। সকলের উপস্থিতিতে প্রায় ১০ থেকে ১৫টি কেক কাটেন তিনি। কেক কাটার পর তিনি জানান, এর আগে কোনওদিনই তিনি কেক কাটেননি। এমনকী আজ যে তাঁর জন্মদিন সেটাও তাঁর খেয়ালে ছিল না। অনুগামীদের উদ্যোগেই এবার প্রথমবার কেক কাটলেন তিনি।

    হাসিমুখে অনুব্রত বলেন, কেক কাটার চক্করে শুক্রবার ডায়েট রাখা গেল না। তবে অনুগামীদের ভালবাসা ও এই ছোট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় তিনি ভীষণ খুশি। ঈশ্বর সবাইকে ভাল রাখুন–জন্মদিনে এমনই শুভেচ্ছা তাঁর।

     বিকালে কার্যালয়ে পৌঁছতেই ভিড় উপচে পড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনুগামীরা কেক ও শুভেচ্ছাবার্তা নিয়ে এসেছিলেন। জন্মদিনে নেতা হিসেবে নয়–একজন মানুষের প্রতি এই ভালবাসাই তাঁকে সবচেয়ে বেশি স্পর্শ করেছে বলে জানান অনুব্রত। 

    কেক কাটার পর হাসিমুখে সাংবাদিকদের অনুব্রত বলেন, আমার জন্মদিন আমি জানতাম না। সকালে মেয়ে আমাকে বলল বাবা আজ তোমার জন্মদিন। এযাবৎ জন্মদিন কখনই হইহুল্লোড় করে করা হয়নি। আসলে বাড়িতে জন্মদিন উদযাপন করা হয় না। কিন্তু বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ের ভাইয়েরা বিশেষ ব্যবস্থা করেছে। পার্টি অফিসের ছেলেরা জানে যে দাদা জন্মদিনে কেক কাটে না। তাই কেকের পরিবর্তে ১০–১২ রকম মিষ্টি, ফল ও পায়েস রেখেছিল। তবে অনুগামীরা প্রচুর কেক এনেছিলেন। 

    অনুগামীদের মধ্যে অমর শেখ বলেন, ‘‌দাদা সবসময় এত ভিড় পছন্দ করেন না, তবুও জন্মদিনে এখানে এসে আমরা সবাই তাঁকে কেক দিতে পেরে খুশি। এটা শুধু জন্মদিন নয়, এক ধরনের সম্পর্কের উদযাপন।’‌ আরেক অনুগামী বাপি মণ্ডল বলেন, ‘‌দাদা খুব সরল মানুষ। জন্মদিন উদযাপনের এই ছোট্ট আয়োজনও তাঁর মন জয় করেছে। কেক কাটার সময় তাঁর খুশির মুখটা আমাদেরও আনন্দে ভরিয়ে দিল।’‌ 

    জন্মদিন বলে কথা, সুক্রবার দুপুরে কী খেয়েছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শাক, পাঁচ রকমের ভাজা, ফুলকপি আলু দিয়ে মাছের ঝোল, পোস্তর বড়া, বাঁধাকপির তরকারি, পটল চিংড়ি–তবে চিংড়ি খাইনি, পটল খেয়েছি, আর শেষ পাতে মাছের মাথার টক। মেয়ে পায়েসও করেছিল। তিনি খুশি হয়ে বলেন, জেলার বিভিন্ন সতীপীঠ ও মন্দিরে তাঁর নামে পূজা দেওয়া হয়েছে জেনে তিনি আনন্দিত। 

    স্মৃতিচারণে তিনি বলেন, সেভাবে কখনই জন্মদিন পালন করেননি। আগে মা পায়েস করে দিতেন, তাতেই আনন্দ পেতাম। তবে শুক্রবার অনুগামীদের ভালবাসা এবং আয়োজন তাঁকে পুরোপুরি খুশি করেছে। ডায়েট মেনে চলা সম্ভব হয়নি। তবে জন্মদিনে এই আনন্দই তাঁকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)