টেট পরীক্ষার প্রশ্ন ভুল মামলায় নতুন নির্দেশ হাইকোর্টের। প্রাথমিক টেট মামলায় হাইকোর্ট জানিয়ে দিল, প্রত্যেকেই নম্বর পাবেন। ২০১৭-২০২২ সালের টেট পরীক্ষার প্রশ্নে ছিল একাধিক ভুল। তার প্রেক্ষিতে আদালতে মামলাও দায়ের করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। শুক্রবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল। এদিন বিচারপতির নির্দেশ, যাঁরা মামলা করেছেন বা যাঁরা মামলা করেননি, তাঁদের সকলকে ভুল প্রশ্নগুলির জন্য নম্বর দেওয়া হবে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের পর অনেকটাই স্বস্তিতে প্রাথমিক টেটের পরীক্ষার্থীরা।
শুক্রবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে এই নম্বর দেওয়া হবে, কত নম্বরই বা দেওয়া হবে তা বিবেচনা করে দেখার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চায় আদালত। এই কারণে সোমবারের মধ্যে আদালতকে বিস্তারিত একটি রিপোর্ট জমা দিতে হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। পর্ষদের সেই রিপোর্ট বিবেচনা করার পরেই আদালত রায় দেবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল ও ২০২২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকারী টেট পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৭ ও ২০২২ সাল মিলিয়ে মোট ৪৭টি প্রশ্নের উত্তর ভুল ছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে আদালত। প্রেসিডেন্সি ও যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একজন প্রতিনিধিকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনার অভিযোগ যাচাইয়ের পর রিপোর্ট জমা করা হয়েছে আদালতে। সম্প্রতি আবার পর্ষদের পক্ষ থেকে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। ১৯ নভেম্বর থেকে এই নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নিয়োগের সুযোগ তাঁদের দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন টেট পরীক্ষার্থীরা। আর তা নাহলে প্রশ্ন ভুল থাকার মামলার জট না কাটা পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদন জানান তাঁরা। শুক্রবার এই মামলার শুনানি চলাকালীন আইনজীবীর বক্তব্য, আদালতে প্রশ্ন ভুল নিয়ে মামলা বিচারাধীন। তা সত্ত্বেও কেন নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এদিকে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হওয়ার পরে এসএসসির তরফে নতুন করে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। নভেম্বরের শুরুতে একাদশ-দ্বাদশের ফলপ্রকাশও হয়েছে। তারপর আবার প্রকাশ করা হয়েছে ইন্টারভিউর তালিকা। এরপর পাঁচের পৃষ্ঠায়