• ১ বছরেই মিলবে গ্র্যাচুইটি! ন্যূনতম বেতন থেকে সামাজিক সুরক্ষা, দেশ জুড়ে লাগু নতুন শ্রমবিধি
    প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে কার্যকর হল নতুন শ্রমবিধি। এই পদক্ষেপকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে মনে করা হচ্ছে। চালু ২৯টি শ্রমবিধির জায়গায় নতুন এই চারটি বিধি আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এবার থেকে এক বছর চাকরি করলেই মিলবে গ্র্যাচুইটি। যা এতদিন ছিল পাঁচ বছর। অন্যদিকে ৪০ কোটি কর্মীর সামাজিক সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হয়েছে এই শ্রমবিধিতে। রয়েছে আরও নানা বিষয়। সব মিলিয়ে নানা সুবিধা পাবেন কর্মীরা।

    প্রসঙ্গত, এই চার শ্রমবিধি সংক্রান্ত বিল বেশ কয়েক বছর আগেই পাশ হয়েছে সংসদে। একটি বিল ২০১৯ সালে পাশ হয়। বাকিগুলি পাশ হয় পরের বছর, ২০২০ সালে। এ বার ওই চার শ্রমবিধি কার্যকর করে দিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার।

    কী কী সুবিধা পাবেন কর্মীরা? শ্রম সংস্কারের আগে পর্যন্ত কোনও বিধিবদ্ধ নিয়োগপত্র দেওয়া হত না। কিন্তু এবার সমস্ত শ্রেণির কর্মীর জন্যই বিধিবদ্ধ নিয়োগপত্র। সমস্ত কর্মীরা পিএফ, ইএসআইসি, বিমা এবং অন্য সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা পাবেন। সময়মতো ন্যূনতম বেতন পাবেন সব কর্মী। নিশ্চিত করা হবে ৪০ কোটি কর্মীর সামাজিক সুরক্ষা। চাকরিতে ঢোকার এক বছর পর থেকেই মিলবে গ্র্যাচুইটি। বর্তমানে পাঁচ বছর টানা এক সংস্থাতে কাজ করলে তবেই গ্র্যাচুইটি পান একজন কর্মী। চাকরি শেষে অবসর জীবনে একজন মানুষের হাতে দু’টি সম্বল থাকে। একটি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যটি গ্র্যাচুইটি। কিন্তু পাঁচ বছরের আগে সংস্থা বদল করলে কর্মীরা গ্র্যাচুইটির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। সব থেকে বেশি অসুবিধায় পড়েন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতরা। কারণ, সরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের সংস্থা বদলানোর ঘটনা নগণ‌্য। তাই চাকরিজীবীদের কথা ভেবেই গ্র্যাচুইটি ফান্ড তৈরির সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করার কথা ভাবা হয়েছে। এছাড়া ৪০ বছরের বেশি বয়সি সমস্ত কর্মীকে বছরে একবার বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হবে।

    এছাড়া সারা দেশ জুড়ে ইএসআইসি আওতা এবং সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। ১০ জনের কম কর্মী যুক্ত সংস্থার ক্ষেত্রে তা ইচ্ছাধীন।ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রগুলিতে একজন কর্মী থাকলেও সেক্ষেত্রে তা লাগু হওয়া বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি মহিলা কর্মীদের বিষয়ে নতুন শ্রম আইনে বলা হয়েছে যে, মহিলারাও রাতের শিফটে এবং যাবতীয় কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হতে পারবেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের সম্মতি সাপেক্ষে এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। 

    তবে এই নয়া চার বিধি নিয়ে প্রশ্নও উঠছে। অভিযোগ উঠেছে, এই নতুন বিধিতে অবহেলিত হয়েছে শ্রমিক স্বার্থ। যেমন, তিনশোর কম কর্মী রয়েছে এমন সব সংস্থা বন্ধ করতে হলে সরকারকে জানানোর প্রয়োজন পড়বে না। অর্থাৎ রাতারাতি সাময়িক বা পুরোপুরিই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারবেন মালিকরা। এতে বিপণ্ণ হবেন শ্রমিকরা। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)