• সকালে ইস্তফা, সন্ধ্যায় প্রত্যাহার, চুঁচুড়ার তৃণমূল কাউন্সিলরের সিদ্ধান্ত বদলের নেপথ্য কারণ নিয়ে জল্পনা
    প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: শীর্ষ নেতৃত্বের কথায় নাকি মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল তাঁর। তাই তৎক্ষণাৎ সকালে ইস্তফাপত্র জমা দেন। আবার কয়েক ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় ইস্তফা প্রত্যাহার। চুঁচুড়ার তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তীর সিদ্ধান্ত বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু জোর চর্চা। সত্যিই কি সামান্য মতবিরোধের জেরে ইস্তফা এবং কিছুক্ষণের মধ্যে প্রত্যাহার নাকি অন্য কিছু, তা নিয়ে চলছে আলোচনা।

    দিনকয়েক আগেই চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অমিত রায় দলের নির্দেশে ইস্তফা দেন। এখনও পর্যন্ত নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়নি। তারই মধ্যে আবার শুক্রবার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী মহকুমা শাসকের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন। দুপুরের দিকে ইস্তফার খবর জানাজানি হয়। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে ধরে রাখতে ময়দানে নামেন স্বাস্থ্যদপ্তরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারী। তিনি কাউন্সিলরকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। ওয়ার্ডের সাধারণ নাগরিক এবং দলের কথা মাথায় রেখে কাউন্সিলরকে পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করার কথা বলেন। এরপর সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত বদল। পদত্যাগ প্রত্যাহার করে নেন কাউন্সিলর নির্মল চক্রবর্তী।

    তৃণমূল কাউন্সিলর জানান,বিধানসভার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে পদত্যাগ করেছিলেন। কার সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়েছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট করে অবশ্য কিছু বলতে চাননি। স্বাস্থ্যদপ্তরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারী বলেন, “নির্মলের স্থানীয় উচ্চনেতৃত্বের ব্যবহার পছন্দ হয়নি। তাই মাথা গরম করে পদত্যাগ করেছিলেন। আমি তাঁকে বুঝিয়েছি ওঁর সঙ্গে দলের মানসম্মান জড়িয়ে আছে। যাঁরা ওয়ার্ডের নাগরিক তাঁদের পরিষেবা দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেই কাজ ভালোভাবে করতে হবে। এখন এসআইআরের কাজ চলছে। সেগুলোও দেখতে হবে। কথা শুনে নির্মল তাঁর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন। পদত্যাগের সঙ্গে পুরসভার কোনও সম্পর্ক নেই।” চুঁচুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অপসারণের পরই দলের এক কাউন্সিলরের এহেন কাণ্ড স্বাভাবিকভাবে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)