নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গ্রাহকদের থেকে বিদ্যুৎ মাশুল বাবদ অনাদায়ী টাকা নিয়ে চিন্তিত দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি)। বর্তমানে প্রায় ৭০টি সংস্থার কাছে তাদের পাওনার পরিমাণ ৫৩০ কোটি টাকা। এই প্রাপ্য আগে অনেকটাই বেশি ছিল। তার বড় অংশ মেটানোর পর, ২০১৭ সাল থেকে চারটি অর্থবর্ষে ওই টাকা পাওনা হয়েছে ডিভিসির। শুক্রবার মার্চেন্টস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ডিভিসির চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার বলেন, টাকা বাকি রাখা এদেশের পুরোনো সংস্কৃতি। ভিভিসির গ্রাহকরাও সেই টাকা মেটায়নি। তারা আদালতে চলে গিয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, টাকা তাদের মেটাতেই হবে। বছরের পর বছর যে টাকা বকেয়া আছে, তার সঙ্গে সুদ যুক্ত হয়ে সেই অঙ্কের বহর আরও কিছুটা বেড়েছে। তাকেই বলা হচ্ছে মাশুলের ধাক্কা, আক্ষেপ সুরেশ কুমারের। তিনি বলেন, এ নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা চলতেই পারে। কিন্তু টাকা মেটাতেই হবে। প্রসঙ্গত, ডিভিসি পরিষেবা এলাকার বেশকিছু সংস্থা বকেয়া মাশুলের ব্যাপারে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছেও ডিভিসির পাওনা ২৫২ কোটি টাকা। ঝাড়খন্ড সরকারের কাছেও তারা ১১৩ কোটি টাকা পায়।