‘চক্রব্যূহ থেকে বেরনো কঠিন’, উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফার ৪ মাস পর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য ধনকড়ের
প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুলাই মাসে আচমকাই উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপর প্রায় মাস চারেক সেভাবে সন্ধানই পাওয়া যায়নি তাঁর। কার্যত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছিলেন। এই চারমাসে মোটে হাতে গোনা কয়েকবার জনসমক্ষে এসেছেন তিনি। চারমাস পর এক সভায় তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন জগদীপ ধনকড়। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বললেন, “ভ্রান্ত ধারণার চক্রব্যূহ থেকে বেরনো খুব কঠিন।”
শুক্রবার ভোপালে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি বললেন, “আজ চারমাস বাদে এই শহরে, এই অনুষ্ঠানে এসে কোনও কিছু বলতেই আমার কোনও বাধা নেই।” ধনকড় ওই সভায় বলেন, “ভগবান করুন কেউ যেন ভ্রান্ত ধারণার চক্রব্যূহে না পড়ে। এই ন্যারেটিভের চক্রব্যূহ খুব ভয়ংকর।” যদিও পরক্ষণেই তিনি স্পষ্ট করে দেন, যে তাঁর নিজের উদাহরণ তিনি দিচ্ছেন না। কিন্তু ধনকড়ের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
গত ২১ জুলাই রাতে আচমকা উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন জগদীপ ধনকড়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো এবং শারীরিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সংবিধানের ৬৭(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলে ধারণা তৈরি হয়, মোদি-শাহদের কথা অমান্য করায় তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকী ইস্তফা না দিলে অপসারণ করা হতে পারে বলে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল ধনকড়কে।
মজার কথা হল, ইস্তফা দেওয়ার পরই ধনকড় কার্যত উধাও হয়ে যান। তাতে ওই সব জল্পনা আরও উসকে যায়। সেই সব ন্যারেটিভকেই কি ভ্রান্ত ধারণার চক্রব্যুহ বলতে চাইলেন ধনকড়? উঠছে প্রশ্ন।