বিষ বাতাস থেকে রক্ষে নেই রাজধানীর, দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে আরও কঠোর বিধিনিষেধ!
প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণ থেকে মুক্তি নেই দিল্লির! প্রতিবছর দীপাবলির পর থেকেই দূষণের চাদরে ঢাকে রাজধানী। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দূষণের মাত্রা এখনও ‘বিপজ্জনক’ স্তরে রয়েছে। এই অবস্থায় আরও কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হতে চলছে দিল্লিতে। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) দূষণ নিয়ন্ত্রণে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি)–এর নিয়ম সংশোধন করেছে, যাতে করে আরও বেশি কর্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
রাজধানী দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চার স্তরীয় পরিকল্পনা রয়েছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ (সিএকিউএম)-এর। একেই বলে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি)। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘খারাপ’ হলে জিআরএপি-১ চালু করা হয়। এই সময় রাস্তায় মাঝেমধ্যে জল ছেটানো হয়। খোলা জায়গায় বর্জ্য পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী ধাপে ধাপে জিআরএপি এক, দুই, তিন সংখ্যা বাড়ে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হয়।
বর্তমানে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা সর্বোচ্চ ৪০১ একিউআই। রাজধানীতে লাগু রয়েছে জিআরএপি-৩। যদিও পরিস্থিতি বিচার করে জিআরএপি-৩-এই জিআরএপি-৪ বিধিনিষেধ জারির কথা ভাবছে কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম)। সিএকিউএম জানিয়েছে, দিল্লি ও এনসিআর–এর রাজ্য সরকারগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—সরকারি, পৌরসভা ও বেসরকারি দপ্তরের ৫০ শতাংশ কর্মী অফিসে উপস্থিত থাকবে কি না, বাকিদের বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা। কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের কর্মীদের জন্য বাড়ি থেকে কাজের বিষয়ে আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সিএকিউএম নির্দেশ দিয়েছে, এনসিআরের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সংশোধিত জিআরএপি–এর নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
প্রসঙ্গত, দীপাবলির পর থেকেই বিষাক্ত হয়ে উঠেছে দিল্লির বাতাস। তাই ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। সম্প্রতি তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ ইতিমধ্যেই তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ। গত রবিবার দিল্লির বাতাসের গুণমান ছিল ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে। ‘দমবন্ধ’ অবস্থা দিল্লিবাসীর। আর এই পরিবেশে বাড়ছে অসুস্থতা। বাড়ছে উদ্বেগ। কিছুদিন আগে দূষণ নিয়ে ইন্ডিয়া গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখান দিল্লিবাসীদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটকও করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তাঁরা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন।