স্টাফ রিপোর্টার, রায়গঞ্জ: শ্বাশুড়িকে নিজের ‘মা’ সাজিয়ে অনেক বছর আগেই ভুয়া পরিচয়ে দিয়ে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছিলেন জামাই। বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় পূরণ করা এনুমারেশন ফর্ম বুথ লেবেল অফিসার (বিএলও) হাতে পাওয়ার পর এতদিনের জারিজুরির রহস্য ফাঁস হল। কীর্তিমান জামাইয়ের আসল রুপ প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো আতঙ্কিত বৃদ্ধা শাশুড়ি।
ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। এসআইআর প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করতে ভোটারদের বাড়ি পূরণ করা এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করতে জোর ব্যস্ত বিএলওরা। ঠিক সেই মুহূর্তে বৃহস্পতিবার চোপড়ার কুমারটোলা গ্রামের পাঁচ কন্যার মা প্রৌঢ়া অঞ্জলি বিশ্বাসের জামাইয়ের এ হেন জালিয়াতি কারবার জানতে পেরে রীতিমতো স্তম্ভিত। অঞ্জলীদেবীর চতুর্থ জামাই অমৃত বিশ্বাস দীর্ঘদিন আগেই অত্যন্ত গোপনে চুপিসাড়ে তাঁকে রীতিমতো ‘মা’ সাজিয়ে নিজের নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত করেছিলেন। আর এনুমারেশন ফর্ম হাতে পেয়ে এতদিনকার ভুয়া পরিচয় সামনে আসে। আর তারপরেই বিষয়টি নিয়ে চোপড়া বিডিও অফিসে ছুটে যান অঞ্জলি দেবী স্বয়ং।
তাঁর অভিযোগ, তাঁর সম্পত্তি কবজা করতেই এমন জালিয়াতি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমৃত বিশ্বাস। উল্লেখ্য, অঞ্জলীদেবীর মেয়ে ও অমৃতবাবুর স্ত্রী ললিতা বিশ্বাস চোপড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। এদিন চোপড়ার কুমারটোলা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শাশুড়ি অঞ্জলি দেবীর জমিতেই শ্বশুরবাড়ির পাশেই থাকেন অমৃত এবং তাঁর স্ত্রী ললিতাদেবী।
এই ঘটনায় রীতিমতো সন্ত্রস্ত অঞ্জলিদেবী বলেন, “আমার জমির দলিল ব্যঙ্কে রেখে টাকা ঋণ নিয়েছে জামাই। তাছাড়া আবার আবাস। যোজনার ঘরের টাকা তুলেছে। এখন তো আমাকেই উচ্ছেদের ভয় দেখাচ্ছে জামাই। ভয়ে ভয়ে দিন কাটছে।” এ ব্যাপারে চোপড়ার বিডিও সৌরভ মাঝি বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” যদিও চেষ্টা করেও জামাই অমৃতবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।