বিক্রম রায়, কোচবিহার: তৃণমূল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হল দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কুমিল্যা খুনে অভিযুক্ত সজল সরকারকে। পাশাপাশি কোচবিহার ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শুভঙ্কর দেকে। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানিয়েছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগ ওঠার পর গ্রেপ্তার করা হয় সজলকে। তারপরই তৃণমূলের তরফ থেকে জানানো হয় পুলিশ নিজের কাজ করছে। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মোতাবেক আজ, শনিবার সাসপেন্ড করা হল সজলকে। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর দেকে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব দেওয়া হল।” দল থেকে সাসপেন্ড তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সমান্তরাল ভাবে একটি কমিটি গঠন করে পরিচালনা করার অভিযোগ উঠেছিল। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “এই ব্লকে আমার কিছুটা পিছিয়ে আছি। লিড পাওয়ার জন্য আমাদের কর্মীরা চেষ্টা করেছে। ওরা ভালো কাজ করছে। নতুন ব্লক সভাপতি কাজে গতি আনবে।”
উল্লেখ্য, নিউটাউনে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। খুনের অভিযোগ তোলে পরিবার। রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। তদন্তে নামে বিধাননগর থানার পুলিশ। বিডিওর চালক ও ঘনিষ্ট বন্ধুকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেপ্তার করা হয় সজল সরকারকে। তিনি এখনও বিচারাধীন হিসাবে বন্দি রয়েছেন। এবার তাঁকে দল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হল।