প্রতিশ্রুতিই সার! বছর ঘুরলেও রাজভবন থেকে আর্থিক সাহায্য পেল না চোপড়ার মৃত শিশুদের পরিবার
প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এক বছর আগে সীমান্তে হাইড্রেন খোঁড়ার কাজ চালাচ্ছিল বিএসএফ। সেখানেই খেলতে গিয়ে ঘটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃত্যু হয় চার শিশুর। ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। অভিযোগ বছর ঘুরে গেলেও আসেনি কোনও সাহায্য।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সীমান্ত এলাকায় ড্রেন খুঁড়ছিল সেনা। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের দাসপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চেতনাগছ গ্রামে সেই সময়েই ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। মুহূর্তেই শোকের ছায়া নেমে আসে গ্রামে। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী গ্রাম চেতনাগছে, বিএসএফ-এর খোদাই করা ড্রেনে মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চার শিশুর। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, সেই সময়ে রাজ্যপাল প্রতিটি পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে অর্থ সাহায্যের কথা বলেন। পাশাপাশি, অন্যান্য শিশুদের লেখাপড়ার জন্য ছয় মাস সাহায্য করা এবং সরকারির চাকরির প্রতিশ্রুতি দেন। যদিও পরিবারের দাবি, রাজ্যপালের প্রতিশ্রুতির দেওয়া কোনও সাহায্য পায়নি পরিবারগুলি। সেই কারণেই এবার রাজভবনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে পরিবারগুলি।
সেই সময় এই চার শিশুর পরিবারের পাশে দাঁড়ায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার। স্থানীয় বিধায়ক হামিদুল রহমানের নেতৃত্বে নয় দিন ধরে আন্দোলন চালায় গ্রামবাসীরা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে চেতনাগছে বিএসএফ ক্যাম্পের সামনেই ধর্নায় বসেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। সেই সময় এই চারটি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেয় রাজ্য সরকার।
এর পাশাপাশি ঘটনার নয় দিনের মাথায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এমনকি প্রতিটি পরিবারকে এক লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য এবং অন্যান্য সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। রাজ্য সরকার এবং শাসকদলের আর্থিক সহায়তা প্রতিটি পরিবার পেয়ে গেলেও রাজ্যপালের সাহায্য তাঁরা এখনও পাননি বলে অভিযোগ ওই পরিবারগুলির।
এবার তাই রাজ্যপালের চার লক্ষ টাকার দাবিতে রাজভবনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা এদিন সাংবাদমাধ্যমকে জানান এই মাসেই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করবেন তাঁরা। ঠিক কী কারণে রাজ্যপাল কথা দিয়েও কথা রাখেননি তা জানতেই রাজভবনের আসতে চান বলে তাঁদের দাবি।