একটি দলকে খুশি করতে ২ বছরের কাজ দু’মাসে! SIR নিয়ে ফের কমিশনকে তোপ তৃণমূলের
প্রতিদিন | ২২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন! ‘এসআইআর আতঙ্কে’ বিএলও-সহ একাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে কমিশনকে কাঠগড়ায় তুলল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, শনিবার সিইওর দপ্তরে এই বিষয়ে স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়। বিএলওদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি, দুই বছরের কাজ দুই মাসে করার চেষ্টা করছে কমিশন! সেই অভিযোগও এদিন করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া চলছে। ‘এসআইআর আতঙ্কে’ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে। আজ সকালে সুইসাইড নোটে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে কৃষ্ণনগরে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন এক বিএলও। নিহত ওই মহিলা রিঙ্কু তরফদার। বছর চুয়ান্নর ওই মহিলা চাঁপা বাঙালঝি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পার্শ্বশিক্ষক। চাপড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ২০১ নম্বর বুথের বিএলও ছিলেন। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এখনও অবধি এসআইআরের কাজের চাপে তিন বিএলওর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিন দুপুরে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সিইও দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিতে যায়। সেই দলে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ পার্থ ভৌমিক-সহ অন্যান্যরা। স্মারকলিপি জমা দিয়ে তাঁরা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
তৃণমূলের অভিযোগ, একটি রাজনৈতিক দলকে খুশি করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। “২ বছরের কাজ ২ মাসে করা হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা কমিশন করছে বলে অভিযোগ। প্রত্যেক বুথে ১৫০ থেকে ২০০ জন ভোটারের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কমিশনের ওয়েবসাইট ভুলেভরা। কমিশনের গাফিলতিতে বহু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।” এমনই অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। ইচ্ছাকৃতভাবে এপিকে ভুল ছবি দেওয়া হচ্ছে। বিএলওদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ না দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে। বিএলওদের উপর চাপ বাড়ছে। প্রাণ যাচ্ছে তাঁদের। এমনই অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, বাংলায় এসআইআর আতঙ্কে ৩৪ জন নাগরিক মারা গিয়েছেন। এই মৃত্যুর দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতে হবে বলে দাবি তোলা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া বন্ধ করার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিএলওদের দুর্দশা এবং অপর্যাপ্ত পরিকাঠামোর কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এহেন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া শেষ করা সম্ভব নয়। ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা থাকবে। সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হবেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ প্রশাসনিক প্রধানের। এসআইআরের বিরোধিতায় আগেই সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে সাধারণ মানুষদের সঙ্গে হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।