নব্যেন্দু হাজরা: এসআইআরের কাজ নিয়ে জটিলতা বাড়ছে দিনের পর দিন। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষের জন্য কার্যত চাপ দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। অথচ পরিকাঠামোয় হাজারও ত্রুটি। ফলে খুব দ্রুত কাজ মুশকিল। আর এই পাহাড়প্রমাণ চাপের কাছে হার মেনে কোনও কোনও বিএলও নিজের জীবন শেষ করে দেওয়ার পথে হেঁটেছেন। সুইসাইড নোটে তাঁরা সেই কারণও লিখেছেন। আর ধারাবাহিকভাবে এসব ঘটনার জেরে এবার নির্বাচন কমিশনকে কড়া ভাষায় তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তাঁর প্রশ্ন, ‘এসআইআরের চাপে এভাবে আর কত জীবন নষ্ট হবে? আর কত মৃতদেহ গুনতে হবে? এটা এবার অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে উঠছে।’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগরের চাপড়ার ২০১ নং বুথের বিএলও, পার্শ্বশিক্ষিকা রিঙ্কু তরফদারের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এসআইআরের কাজে চাপের কথা তিনি লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে।’
শনিবার সকালে বাড়ি থেকে বছর চুয়ান্নর রিঙ্কু তরফদারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি চাপা বাঙালঝি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পার্শ্বশিক্ষিকা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। দীর্ঘ ওই নোটে রিঙ্কুদেবী লিখেছেন, “আমি বাঁচতে চাই। আমার সংসারে কোনও অভাব নেই। কিন্তু এই সামান্য চাকরির জন্য এরা আমাকে এভাবে ভরাডুবির মাধ্যমে মরতে বাধ্য করল।” সেইসঙ্গে নোটে তিনি পরিবারের সদস্যদের এসআইআরের কাজ কীভাবে হবে, তাও জানিয়ে গিয়েছেন। সুইসাইড নোটের ছত্রে ছত্রে কাজের চাপের কথা লিখেছেন কর্তব্যরত ওই বিএলও। একইসঙ্গে তাঁর কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতিফলনও রয়েছে চিঠিতে। এসব জেনেই কমিশনকে তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্ন, আর কত মৃত্যু দেখতে হবে?