• শেষ মুহূর্তে তেজস থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন পাইলট? সামনে এল নতুন ভিডিয়ো
    এই সময় | ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • একটা শেষ চেষ্টা করেছিলেন। শিয়রে বিপদ বুঝতে পারা মাত্র ইজেক্ট করতে চেয়েছিলেন উইং কম্যান্ডার নমাংস স্যাল। কিন্তু সময় ছিল না। উচ্চতাও কম ছিল। ফলে আর সম্ভব হয়নি। দুবাইয়ের এয়ার শো-তে তেজস যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার একটি নতুন ভিডিয়োয় পাইলটের শেষ মুহূর্তের ছবি দেখে এমনই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

    ভিডিয়োটি WL Tan's Aviation নামের একটি হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, লো-অল্টিটিউড অ্যারোবেটিক স্টান্ট দেখাচ্ছিল তেজস। সোঁ সোঁ করে নীচের দিকে নেমে এল। তার পরে আবার উঠে গেল উপরে। সেই সময়ে তেজস নিয়ে কসরত দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন নমাংস। কিন্তু আর সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, কম উচ্চতায় ওই ধরনের টার্ন নেওয়া যায় না। তাতেই বিপত্তি ঘটে।

    কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে গোঁত্তা খেয়ে নীচে নেমে আসে তেজস। মুহূর্তের মধ্যে আছড়ে পড়ে মাটিতে। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিমান। চারদিক আগুন আর কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। নতুন ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, নীচের দিকে নামার সময়ে একটা কালো বস্তু এক ঝলক দেখা গেল, আবার পরক্ষণেই মিলে গেল। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, এটাই ইজেক্টের ইঙ্গিত। উইং কম্যান্ডার নমাংশ হয়তো শেষ মুহূর্তে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সম্ভব হয়নি।

    ৩৭ বছর বয়সি নমাংস হিমাচল প্রদেশের কাংড়ার বাসিন্দা ছিলেন। ইউটিউবে এয়ার শো দেখছিলেন তাঁর বাবা জগন নাথ। সেই সময়েই জানতে পারেন, দুবাইতে একটি তেজস ভেঙে পড়েছে। একজন পাইলটেরও মৃত্যু হয়েছে। পরে জানেন, সেই মৃত পাইলচট তাঁরই ছেলে। নমাংসই তাঁকে ইউটিউবে ভিডিয়োগুলো দেখার কথা বলেছিলেন। ছেলে বলেছিলেন, ‘কেমন পারফর্ম্যান্স হয় দেখবে।’

    উল্লেখ্য, দু’বছরেরও কম সময়ে দ্বিতীয়বার ভেঙে পড়ল তেজস। এর আগে গত বছরের মার্চে রাজস্থানের জয়সলমেরে ভেঙে পড়েছিল একটি তেমন যুদ্ধবিমান। সে বার অবশ্য নিরাপদেই বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন পাইলট।

  • Link to this news (এই সময়)