সৌরভ চৌধুরী: ভ্রাম্যমান মেডিকেল ইউনিটে বসে চিকিৎসা করছেন গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক ডা খগেন্দ্র নাথ মাহাত। ডাক্তার বিধায়ককে পুরানো রূপে পেয়ে খুশি এলাকার মানুষও। তৃণমূল স্তরে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌছে দিতে জেলার চারটি মোবাইল মেডিকেল ইউনিট চালু করা হল আজ।
সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য ব্যাবস্থারও আমূল পরিবর্তন হয়েছে ঝাড়গ্রাম জেলায়। জেলায় এখন মেডিকেল কলেজ সহ তিনটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যাও বেরেছে অনেকটাই। বেলপাহাড়ি, লালগড় এখন ব্লক হাসপাতাল। তারপরও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার ভ্রাম্যমান স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করলো আজ থেকে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে কিছুটা দুরে অবস্থিত গ্রামবাসীদের সুস্বাস্থ্যের লক্ষ্যে এই ভ্রাম্যমাণ স্বাস্থ্যপরিষেবা। যা এবার বিধানসভা ভোটের আগে এক বড় চমক।
ঝাড়গ্রাম জেলার চারটি বিধানসভা এলাকায় আজ শুরু হল এই মেডিকেল স্বাস্থ্য পরিষেবা। গোপীবল্লভপুর বিধানসভার সাঁকরাইল ব্লকের ফুলবনী প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে ফিতা কেটে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গোপীবল্লভপুর এর ডাক্তার বিধায়ক ডাঃ খগেন্দ্রনাথ মাহাত। তারপর নিজেই রোগী দেখতে বসে যান। নিজে বিএমওএইচ থাকার সময়ও এলাকায় ঘুরে রোগীদের খবর রাখতেন। ক্যাম্প করে চিকিৎসা করতেন। আর আজ যখন তৃণমূল স্তরে সরকারি ভাবে চিকিৎসা পৌছে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তখন নিজেই ফের চিকিৎসকের ভূমিকা পালন করলেন। গ্রামবাসীদের শারীরিক পরীক্ষা করে, প্রেসক্রিপশন লিখে দেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ওষুধের উপদেশ দেন।
এদিন বিধায়ক জানান, “প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ যাতে প্রাথমিক ও জরুরি চিকিৎসা পায়, তার জন্যই সরকারের এই উদ্যোগ।” বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে মহিলা ও শিশুরা চিকিৎসার জন্য ভিড় করে। এই ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা যানে ছিলেন ডাক্তার, নার্স, ফার্মাসিস্ট ও ল্যাব টেকনিশিয়ান। সঙ্গে থাকছে আধুনিক চিকিৎসার সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় ওষুধ। রোগ নির্ণয়ের জন্য হিমোগ্লোবিন, প্রেগন্যান্সি, ম্যালেরিয়া, ইসিজি, ব্লাড সুগার-সহ প্রায় ৩৫ টি বিনামূল্যের ডায়াগনস্টিক টেস্ট এই গাড়ির মধ্যেই সম্পন্ন হবে। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে এই স্বাস্থ্য পরিষেবা। বিধায়কের ডাক্তারি পেশায় ফিরে আসা দেখে খুশি গ্রামবাসীরাও। গ্রামবাসীদের আশা—এই স্বাস্থ্য পরিষেবা তাঁদের জীবনে বড় পরিবর্তন আনবে। এই মোবাইল পরিষেবা যে ভোটের আগে এক বড় চমক তা বলাই বাহুল্য।