• ‘লাল সন্ত্রাসে’ লাগাম! তেলঙ্গানায় রাজ্য কমিটির সদস্য-সহ আত্মসম্পর্ণ ৩৭ মাওবাদীর
    প্রতিদিন | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জঙ্গলযুদ্ধে’ ক্রমশ পিছু হটছে মাওবাদীরা। সম্ভবত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি মতো আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ থেকে মুক্ত হতে চলেছে দেশ। ইতিমধ্যে অধিকাংশ শীর্ষ লাল নেতা হয় নিহত নতুবা আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছেন। এই অবস্থায় শনিবার হায়দরাবাদে আরও ৩৭ নকশালপন্থী অস্ত্র সম্বরণ করলেন। তেলেঙ্গানার পুলিশকর্তার সামনে চলল এই আত্মসমর্পণ পর্ব। এদের অধিকাংশই তরুণী মাও সদস্য।

    তেলেঙ্গানা পুলিশের দাবি, ৩৭ নকশালপন্থীর আত্মসমর্পণ আসলে নিরাপত্তাকর্মীদের দীর্ঘ তথা কঠিন লড়াইয়ের ফলাফল। মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে সরকার পক্ষ কৌশলগত জয় পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। শনিবারের আত্মসমর্পণ পর্বে একটি একে-৪৭ রাইফেল, দু’টি এসএলআর, চারটি ৩০৩ রাইফেল, একটি জি-৩ রাইফেল এবং ৩৪৩ রাউন্ড গোলাবারুদ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে মাওবাদীরা।

    আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের মধ্যে কৈয়াদা সাম্বাইয়া ওরফে আজাদ এবং আপ্পাসি নারায়ণ ওরফে রমেশ তেলঙ্গানা সিপিআই (মাওবাদী)-র রাজ্য কমিটির সদস্য। এছাড়াও মুচাকি সোমাদা ওরফে ইরা দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য। এদিন যাঁরা অস্ত্র সম্বরণ করেছেন, তাঁদের ২৫ জন মহিলা, যাদের অনেকেরই বয়স ২০-এর কোঠার। তাঁরা জানিয়েছেন, সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগ করার কারণ আদর্শের প্রতি মোহভঙ্গ, শারীরিক ক্লান্তি এবং সরকারের কল্যাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্পগুলির মাধ্যমে নিজেদের উপকৃত করার আকাঙ্ক্ষা।

    উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদকে পুরোপুরি নির্মূল করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যে জোরকদমে শুরু হয়েছে কাজ। গত কয়েক মাসে ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে আত্মসমর্পণ করেন কয়েকশো মাওবাদী। স্পষ্ট ভাষায় শাহ জানিয়েছেন, “যারা হিংসাত্যাগ করে মূল স্রোতে ফিরছেন তাঁদের স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা এখনও বন্দুক চালিয়ে যাবে তাঁদের নিরাপত্তা বাহিনীর মারণ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)