• কীভাবে মৃত্যু মহিলা BLO-র? মুখ্যমন্ত্রী সরব হতেই নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে রিপোর্ট চাইল কমিশন
    প্রতিদিন | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সঞ্জিত ঘোষ, কৃষ্ণনগর: নদিয়ায় মহিলা বিএলও-র অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রিপোর্ট তলব নির্বাচন কমিশনের। নদিয়ার জেলাশাসক তথা ডিইওর কাছে সেই রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। কীভাবে ওই বুথ লেভেল অফিসারের মৃত্যু, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

    নিহত ওই মহিলার নাম রিঙ্কু তরফদার। বছর চুয়ান্নর ওই মহিলা চাপ়়া বাঙালঝি স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পার্শ্বশিক্ষক। চাপড়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের ২০১ নম্বর বুথের বিএলও ছিলেন। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। ওই নোটে তিনি লেখেন, “আমি বাঁচতে চাই। আমার সংসারে কোনও অভাব নেই। কিন্তু এই সামান্য চাকরির জন্য এরা আমাকে এভাবে ভরাডুবির মাধ্যমে মরতে বাধ্য করল।”

    শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করে তিনি ‘সুইসাইড নোটে’ লেখেন, “আমার এই পরিণতির জন্য নির্বাচন কমিশন দায়ী। আমি কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। খুবই সাধারণ মানুষ। কিন্তু এই অমানুষিক কাজের চাপ আমি নিতে পারছি না। আমি একজন পার্শ্বশিক্ষিকা। বেতন পরিশ্রমের তুলনায় খুবই কম কিন্তু এরা আমাকে ছাড় দিল না।”

    ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সমাজ মাধ্যমে সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তাঁর প্রশ্ন, ‘এসআইআরের চাপে এভাবে আর কত জীবন নষ্ট হবে? আর কত মৃতদেহ গুনতে হবে? এটা এবার অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে উঠছে।’

    মমতা আরও লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগরের চাপড়ার ২০১ নং বুথের বিএলও, পার্শ্বশিক্ষিকা রিঙ্কু তরফদারের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এসআইআরের কাজে চাপের কথা তিনি লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন পোস্টের পরেই নড়েচড়ে বসে নির্বাচন কমিশন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)