• ‘বর্ডার খুলে দেওয়া হোক’, অনুপ্রবেশ নিয়ে BSF-কে দায়ী করার পর ফের বিতর্কে দিলীপ!
    প্রতিদিন | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাজ্যে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে বিএসএফ-ও দায় এড়াতে পারে না, নজিরবিহীনভাবে এই মন্তব্য করে বেশ বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা দিলীপ ঘোষ। এবার বিতর্কের আঁচ আরও বাড়িয়ে সীমান্ত খুলে দেওয়ার কথা শোনা গেল তাঁর গলায়। খোলাখুলিই এ বিষয়ে নিজের মত তুলে ধরলেন দিলীপ। বললেন, এসআইআর আবহে যাঁরা বাংলাদেশে চলে যেতে চাইছে, তাঁদের জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হোক!

    শুক্রবার স্বরূপনগরে চা-চক্র কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছিলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলেছিলেন, “দায়ভার উভয়পক্ষেরই। পুলিশ-বিএসএফ পয়সার জন্য করে এসব করে (অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকতে দেয়)।” অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৃণমূলের সুরে বিএসএফের ‘ব্যর্থতা’র কথা বলার পর ওইদিন রাতেই উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে এক সভায় যান তিনি। সেখানে বাংলাদেশে ফিরতে সীমান্ত এলাকায় ভিড় হওয়া নিয়ে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন। তার জবাবে দিলীপ বলেন, “যদি কেউ বাংলাদেশ চলে যেতে চায়, আমার বক্তব্য, বর্ডার খুলে দেওয়া উচিত। ১৯৪৭-৪৮ সালে এদেশে আসার জন্য বাংলাদেশ বর্ডার খুলে দিয়েছিল। আজ শোধবোধ হয়ে যাক। এখান থেকে যারা বাংলাদেশ যেতে চাইছে, ছেড়ে দিক তাদের। লোক হালকা হোক। সঙ্গে মাফিয়া, গুন্ডা, চোর-ডাকাতরাও ওই দেশে চলে যাক।” বর্ডার ‘খোলা’ নিয়ে তাঁর এই মন্তব্য নতুন করে বড়সড় বিতর্কের জন্ম দিল, তা বলাই বাহুল্য।

    পানিহাটির সভায় এসআইআর নিয়েও সরব হন দিলীপ ঘোষ। কাজের চাপে বিএলও এবং নাম না থাকার আতঙ্কে রাজ্যে একাধিক নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, “দেশের অন্যান্য জায়গায় চুপচাপ এসআইআর হচ্ছে। দেশবাসী জানেন, এটা সাংবিধানিক ব্যবস্থা। তাই ভোটাধিকার প্রমাণ করতে সকলে নিজের দায়িত্বে ফর্ম ফিলাপ করছে। তৃণমূলই শুধু শুধু এনিয়ে শোরগোল করছে। ভুল বোঝাচ্ছে লোককে।” সবমিলিয়ে এসআইআর, অনুপ্রবেশ নিয়ে দিলীপ ঘোষের ‘উত্তপ্ত’ মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রথমে অনুপ্রবেশের জন্য বিএসএফ-কে দায়ী করে দলীয় লাইনের বিপরীতে হাঁটা, দ্বিতীয়বার সীমান্ত খোলা নিয়ে মন্তব্যে দেশের সুরক্ষাকেই আলগা করার মনোভাব প্রকাশ দিলীপকে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে নিয়ে এল।
  • Link to this news (প্রতিদিন)