নয়া শ্রম বিধিতে যুক্ত হতে বাগানে কমপক্ষে ১০ চা-শ্রমিক প্রয়োজন
বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: চা বাগানে ১০ জনের বেশি শ্রমিক-কর্মচারীকে কাজ করতেই হবে। অথবা সেই চা বাগানের আয়তন হতেই হবে পাঁচ হেক্টর কিংবা তার বেশি। একমাত্র তাহলেই সংশ্লিষ্ট চা বাগানের কর্মীরা (প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কার্স) নয়া শ্রম আইনের আওতায় আসবেন। বিড়ি শ্রমিকদের দিনে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা পর্যন্তও কাজ করাতে পারবে মালিকপক্ষ। যদিও সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি বিড়ি শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো যাবে না। বছরে যদি ৩০ দিনে তাঁরা কাজ করেন, তাহলেই বিড়ি শ্রমিকরা বোনাস পাবেন।
রাজ্যের আপত্তি হেলায় উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার দেশজুড়ে চার ‘বিতর্কিত’ শ্রম কোড আইনে পরিণত করেছে কেন্দ্র সরকার। যদিও তা নিয়ে বিতর্ক থামার কোনও লক্ষণ নেই। বরং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন, কিষান মোর্চা সহ বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল। অবিলম্বে এই নয়া চার শ্রম আইন প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে তারা। বিড়ি শ্রমিকদের প্রসঙ্গে নতুন শ্রম আইনে কী বলা হয়েছে? জানা যাচ্ছে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বিড়ি শ্রমিকদের কাজের সময় দিনে সর্বনিম্ন আট ঘণ্টা থেকে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা হতেই হবে। তবে সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না তাঁরা। কাজের সময়সীমার বাইরে কর্মরত থাকলে তা ‘ওভারটাইম’ হিসেবেই ধরতে হবে এবং সেইমতো অতিরিক্ত মজুরি দিতে হবে। এর পরিমাণ সাধারণ মজুরি সীমার অন্তত দ্বিগুণ হতে হবে।
অন্যদিকে, প্ল্যান্টেশন ওয়ার্কারদের প্রসঙ্গে কেন্দ্র শ্রম আইনে জানিয়েছে, শর্ত পূরণ করলে তবেই চা-বাগান কর্মীরা ‘অকুপেশনাল সেফটি, হেলথ অ্যান্ড ওয়ার্কিং কন্ডিশনস’ আইনের আওতায় আসবেন। একইসঙ্গে সামাজিক সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনেরও অধীনস্ত হবেন। নয়া শ্রম আইনের আওতায় প্ল্যান্টেশন কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে সুরক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিতে হবে চা বাগান কর্তৃপক্ষকে। প্ল্যান্টেশন কর্মী এবং তাঁদের পরিবার যেমন সরকারি স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচি ইএসআইয়ের যাবতীয় পরিষেবা পাবেন। তেমনই কর্মীর ছেলেমেয়েরা এইসব আইনের আওতায় শিক্ষাগত সুযোগ সুবিধেও নিশ্চিতভাবে পাবে। দেশের ২৯টি শ্রম আইনকে একত্রিত করে চার শ্রম কোডকে ল’য়ে পরিণত করেছে মোদি সরকার। পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু সম্মতি দেয়নি।