নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের মামলায় কোচবিহার-২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সজল সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় যথেষ্ট চাপের মুখে ছিল কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হল সজল সরকারকে।
ব্লকটি কোচবিহার উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত। এই বিধানসভায় আজ পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখতে পারেনি তৃণমূল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও বিজেপির শক্ত ঘাঁটি হওয়ার কারণে গত লোকসভা নির্বাচনেও দল এখানে পর্যুদস্ত হয়েছিল। সম্প্রতি দলের নির্দেশে এখানকার ব্লক সভাপতি হিসাবে সজল সরকারের নাম ঘোষণা হলেও, এখানে দলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তার বিরোধ প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। যা নিয়ে দলের অন্দরে যথেষ্ট চাপানউতোর চলছিল। এই আবহেই স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের মামলায় রাজগঞ্জের বিডিওর ঘনিষ্ঠ হিসাবে সজল সরকারের নাম জড়িয়ে যায়। পরে তার গাড়ির চালক বিবেকানন্দ সরকারকেও পুলিশ গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় দল যথেষ্ট বিপাকে পড়ে। এরপরেই এদিন সজল সরকারকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল তৃণমূল। তার জায়গায় নতুন সভাপতি হিসাবে শুভঙ্কর দে’র (ছন্দ) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কোচবিহারে দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন ও জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিকের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। নতুন ব্লক সভাপতি শুভঙ্কর দে’র হাতে এদিন নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। জেলা সভাপতি বলেন, গত ১১ অক্টোবর দলের নির্দেশে সজল সরকারকে ব্লক সভাপতি হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দলবিরোধী কিছু কথাবার্তা বলায় তাকে শোকজ করা হয়েছিল। তার কোনও উত্তর তিনি দেননি। এর মধ্যেই মেদিনীপুরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের মামলায় তার নাম জড়িয়ে যায়। বিধাননগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই দুই ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত। দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে আমরা তাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করছি। নতুন ব্লক সভাপতি হলেন শুভঙ্কর দে। • নিজস্ব চিত্র।