• চিকেন নেক সংলগ্ন সীমান্তগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ, শিলিগুড়িতে সেন্ট্রাল আইবি’র কার্যালয়ে বৈঠক
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: প্রতিবেশী দুই দেশ নেপাল ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। চীনের আগ্রাসী মনোভাবের প্রমাণ বারবার মিলছে। ফুলবাড়ি সীমান্তের কাছে চীনের তৈরি মডিউলের উপর ভরসা করে ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্ট চালানো হচ্ছে বলে গোয়েন্দা মহলে খবর রয়েছে। গোদের উপর বিষফোঁড়া দিল্লির লালাকেল্লার কাছে বিস্ফোরণ। সব মিলিয়ে  চিকেন নেক বা শিলিগুড়ি করিডরের নিরাপত্তায় নিয়ে তটস্থ কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ, নেপাল সহ একাধিক দেশের সঙ্গে কুটনৈতিক আলোচনা চালাচ্ছে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে চিকেন নেক ও শিলিগুড়ির উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির নিরাপত্তা নিয়ে তটস্থ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত এজেন্সি। প্রত্যেকটি সীমান্তে নজরদারি আরও কড়া করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে বাহিনীর তরফে। এমনকী, নিরাপত্তা ব্যবস্থার খামতি কী কী রয়েছে তা নিয়েও চলছে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক।

    শনিবার স্ম্যাক বা স্টেট সাবসিডারি মাল্টি এজেন্সি সেন্টার তথা শিলিগুড়ির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সেন্ট্রাল আইবি’র কার্যালয়ে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিআইএসএফ, বিএসএফ, এসএসবি, আইটিবিপি, আরপিএফ, ভারতীয় সেনা, ভারতীয় বায়ু সেনা, কেন্দ্রীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ, এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ, মিলিটারি পুলিশ, আর্মি ইন্টেলিজেন্স, রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, জিআরপি সহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে চিকেন নেকের নিরাপত্তা ও সীমান্ত এলাকায় নজরদারি দ্বিগুণ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিনিময়ে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সবসময় যোগাযোগ স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।

    উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহারের ডিভিশনাল সেফটি কমিশনার সন্দীপ কুমার পিএস জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সমস্ত নিরাপত্তা সংস্থা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিল। মূলত এই বৈঠকে প্রতিটি নিরাপত্তা সংস্থা নিজেদের নিরাপত্তা ও নজরদারি সংক্রান্ত কিছু পরামর্শ রেখেছে।  জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জাতীয় সড়ক, রেল সেতু, সেতু, গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার আধিকারিকরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। তবে সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা বিস্তারিত জানাতে চাননি। উল্লেখ্য, গত দু’মাসে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত থেকে ৪১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হয়েছে। তিন জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সেদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হওয়ার  অভিযোগে ভারতীয় সেনার বাগডোগরার ব্যাঙডুবি সেনা ছাউনি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। এছাড়াও আমেরিকা থেকে শুরু করে পাকিস্তানি নাগরিককেও ওই সীমান্তে গ্রেফতার করা হয়েছে। পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত হয়ে কয়েকজন পাকিস্তানি জঙ্গি পার হয়েছিল বলেও বিহার পুলিশ দাবি করেছিল। এই সকল তথ্যকে সামনে রেখেই সতর্কতা বাড়িয়েছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। 
  • Link to this news (বর্তমান)