এসআইআর ফর্ম পাননি, কারণ জানতে গিয়ে জুটল বাংলাদেশি তকমা!
বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, দিনহাটা: রাজবংশী ভূমিপুত্র ধনেশ্বর বর্মন। দীর্ঘদিন ধরেই ভোট দেন দিনহাটাতে। রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের কর্মচারী ছিলেন। সেই সুবাদে ভোটের ডিউটিও করেছেন। তবু তাঁর ভাগ্যে জুটল বাংলাদেশি তকমা! কেন? ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও অজানা কারণে ২০২৫ সালের তালিকায় তাঁর নাম নেই। বাদ গিয়েছে ধনেশ্বরের স্ত্রী-ছেলের নামও। সেই কারণেই দিনহাটা-১ ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নাকি ব্লক অফিসের এক কর্মী বাংলাদেশি তকমা দেন তাঁকে। ঘটনার কথা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
কোচবিহারের আদি বাসিন্দা ধনেশ্বর। তার পূর্বপুরুষরা কোচ রাজাদের প্রজা ছিলেন। নিজে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী। ধনেশ্বরের অভিযোগ, তাঁর পাশাপাশি স্ত্রী অঞ্জনা ও ছেলে প্রশান্ত বর্মনেরও নাম নেই ২০২৫-এর ভোটার তালিকায়। প্রশান্ত পিএইচডি সম্পূর্ণ করে বর্তমানে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
তাঁর কথায়, বিডিও অফিসে ২০২৫ তালিকায় আমার সহ পরিবারের কারো নাম না থাকার কারণ জানতে চাই।তখনই এক কর্মী আমায় বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দেন। আমি প্রতিবাদ করি। জানাই পুর্ব পুরুষ সকলেই কোচবিহারের আদি বাসিন্দা। কোচবিহার রাজার আমলের জমির কাগজপত্র এখনো রয়েছে আমাদের। পরবর্তীতে তারা দিনহাটা এসডিও অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন আমাকে।
ধনেশ্বরের সংযোজন, এরপর এসডিও অফিসে যাই তখন জানানো হয় আমি নাকি নিজেই নাম বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলাম। সেই সংক্রান্ত কাগজ দেখাতে বলায় তা ওই অফিসের কেউ তা দেখাতে পারেননি। পরে তারা জানায় ৫ ও ৬ ডিসেম্বর ফর্ম দেওয়া হবে। সেই ফর্ম সংগ্রহ করে এসডিও অফিসে নতুন করে ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য আবেদন করতে হবে। তারপরে হেয়ারিংয়ের সময় তার নথিপত্র নিয়ে এলে পুনরায় ভোটের তালিকায় নাম উঠবে।
বিষয়টি কানে গিয়েছে দিনহাটা মহকুমার ভারপ্রাপ্ত মহকুমা শাসক বিজয় গিরিরও। তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
কিন্তু তাঁকে বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হল যে, তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ? ধনেশ্বরের জবাব, আগে তালিকায় নামটা তুলি। তারপর বাংলাদেশি কেন বলা হল, তা নিয়ে কৈফিয়ত চাইব।