শান্তিপুরের বড়বাজারে আগুন, বেশ কয়েকটি দোকান ভস্মীভূত
বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: শুক্রবার গভীর রাতে শান্তিপুরের বড়বাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও তার আগেই বহু দোকান ভস্মীভূত হয়ে যায়। বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, গভীর রাতে আচমকা বড়বাজারের মাছ বাজার সংলগ্ন আলু-পেঁয়াজ ও সবজি ব্যবসায়ীদের দোকান থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। প্রথমে কেউ গুরুত্ব না দিলেও অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দমকলে খবর দেন। যদিও শীতের রাতে দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুন একের পর এক দোকানে হুহু করে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। বাঁশ-ত্রিপল থাকায় আগুন ভয়াবহ আকার নেয়। মুহূর্তের মধ্যে ফল, সবজি, চাল-ডাল সহ দোকানের বিপুল পরিমাণ সামগ্রী ভস্মীভূত হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে আসার পর তৎপরতার সঙ্গে আগুন নেভানো শুরু করেন দমকল কর্মীরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশও।
রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী ও পুরসভার চেয়ারম্যান সুব্রত ঘোষ। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দমকল কর্মীদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে বাজারটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং দোকানগুলিতে দাহ্য পদার্থ থাকায় কারণে অগ্নিকাণ্ড আরও বড়সড় আকার নিতে পারত বলে মত দমকলের। বাজার কমিটির সম্পাদক প্রসেনজিৎ সেন বলেন, অনেক ব্যবসায়ীর দোকান পুড়ে গিয়েছে। প্রচুর কাঁচা সবজি, ফল এবং নিত্যপণ্য ভস্মীভূত হয়েছে। সম্ভবত শর্টসার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। বিধায়ক বলেন, খবর পাওয়ার পরই দমকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটল, তা তদন্ত করে দেখছে দমকল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দেরি হলে গোটা বাজারই ভস্মীভূত হয়ে যেত। তবে আগুন লাগার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। তাঁদের দাবি, এই অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত হতে পারে। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে তারা তদন্ত শুরু করেছে।