• ওয়ারিশ শংসাপত্র দিতে ‘হয়রানি’ বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে মহিলার নালিশ
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, তেহট্ট: বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে ওয়ারিশ শংসাপত্র দিতে হয়রানির অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। তেহট্ট-১ ব্লকের বেতাই-২ পঞ্চায়েতে এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অতসী বিশ্বাস নামে ওই মহিলা সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ বিডিও-র কাছে লিখিত আকারে জমা দিয়েছেন। বিডিও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও প্রধান যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তেহট্ট-১ ব্লকের বিডিও সঞ্জীব সেন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    অতসীদেবীর অভিযোগ, তাঁর মা যমুনারানি বিশ্বাস ২০২০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মারা যান। তাঁর নামে কিছু বিষয়, সম্পত্তি রয়েছে। সেই সম্পত্তির বিষয়ে আদালতে একটি মামলা হয়। সেই মামলার জন্য তাঁদের একটা ওয়ারিশ শংসাপত্র লাগবে। মহিলার দাবি, তিনি যাবতীয় নথি সহ ওয়ারিশ শংসাপত্রের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু পঞ্চায়েতের প্রধান কোনও এক অজানা কারণে এই ওয়ারিশ শংসাপত্র দিচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে তিনি বিডিও ও থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। 

    অতসীদেবী বলেন, আমি কলকাতায় থাকায় বাবাকে বেতাইয়ে ওয়ারিশ শংসাপত্র আনার জন্য পাঠিয়েছিলাম। শংসাপত্রের আবেদনে এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও তিনজন গ্রামবাসীর সই করে দিই। প্রধান এতে শংসাপত্র না দিয়ে বাবাকে ঘুরিয়ে দেন। প্রধানের বক্তব্য, আবেদনপত্রে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও আরও পাঁচ গ্রামবাসীর সই লাগবে। অথচ যে সম্পত্তি নিয়ে গণ্ডগোল তাতে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী জড়িত। সেই কারণে উনি সই করবেন না! আগেও  আমার ওয়ারিশ শংসাপত্র প্রয়োজন হয়েছিল। তখন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের সই করা আবেদনেই কাজ হয়। 

    এই বিষয়ে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান বিকি বিশ্বাস বলেন, শুধু উনি নয়, যে কোনও বাসিন্দা ওয়ারিশ শংসাপত্রের আবেদন নিয়ম মেনে করলে আমরা তা দিতে বাধ্য। উনি সঠিকভাবে আবেদন করেননি। আবেদন পত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের সই করার পরিবর্তে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে দিয়ে সই করিয়েছেন। আবার পাঁচ জনের জায়গায় তিনজন গ্রামবাসী সই করেছেন। নিয়ম মেনে আবেদন করলে তদন্ত করে ওয়ারিশ শংসাপত্র দিয়ে দেব। উনি সেটা না করে আমার ও দলের বদনাম করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)