• গত চার মাসে সাইবার প্রতারণা, চুরি সহ একাধিক অপরাধে গ্রেফতার ১১, আমডাঙা থানার অভিযান, উদ্ধার ক্রেডিট কার্ড, সিম কার্ড ও বহু সরঞ্জাম
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: গত চারমাসে ঘটে যাওয়া সাইবার প্রতারণা, আর্থিক প্রতারণা ও চুরির একাধিক ঘটনার কিনারা করল আমডাঙা থানা। পৃথক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১১ জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চুরির সামগ্রী সহ ৮৪টি ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল, ল্যাপটপ, সিম কার্ড ও সোয়াইপ মেশিন।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আমডাঙার বাসিন্দা শেখ হাসান আলি এবং আক্তার ওমর সাহাজিকে ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৮৪টি ক্রেডিট কার্ড, তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, চারটি সিম কার্ড সহ ও একটি সোয়াইপ মেশিন উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ৬ নভেম্বর আদহাটার বাসিন্দা পার্থ ঘোষের বাড়িতে চুরি হয়। ১১ হাজার টাকা মূল্যের রুপোর সামগ্রী সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র খোয়া যায়। ৭ নভেম্বর তিনি আমডাঙা থানায় অভিযোগ করেন। ১৬ নভেম্বর অশোকনগরের সোলেমানপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত শাজাহান আলি, আলমগির হোসেন ও জয়দেব কুণ্ডুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চুরির সামগ্রী কিনেছিল জয়দেব। তাদের কাছ থেকে রুপোর থালা, গ্লাস, একজোড়া নূপুর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া, আমডাঙা থানা এলাকা থেকে ৭ নভেম্বর তামার তার চুরির ঘটনা ঘটে। তদন্ত চালিয়ে ১৯ নভেম্বর আবু হাসান মণ্ডল, গফুর গোলদারকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জেরা করে চুরি যাওয়া তামার তার সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। 

    অন্যদিকে, অল্প সুদের প্রলোভন দেখিয়ে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাইবার প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিল আমডাঙার যুবক শেখ মনিরুল। অল্প সুদ ও নথি জমা দেওয়ার কড়াকড়ি না থাকায় প্রতারকের ফাঁদে পড়েন নুরুল হাসান। ঋণ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নুরুলের কাছ থেকে কমিশন বাবদ ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছিল অভিযুক্ত মনিরুল। শেষে ঋণ না পেয়ে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ১৫ নভেম্বর নুরুল হাসান আমডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ১৬ নভেম্বর মনিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করে এই চক্রে যুক্ত আরও তিনজনের নাম পান তদন্তকারীরা। 

    পরবর্তীতে  সৈকত পাল, দিয়া দত্ত ও সুপ্রিয়া নন্দীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে একাধিক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ডেবিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে। দিয়া ও সুপ্রিয়া কলসেন্টারে কাজ করত। বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, ‘গত চার মাসে একাধিক অপরাধের পর্দা ফাঁস করেছে পুলিশ। এসডিপিওর নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও সাইবার টিমের এই সাফল্য নজরকাড়া।’  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)