এসএসসি-কে ভুল তথ্য দিয়ে চিহ্নিত প্রায় ৩৫০ শিক্ষক পদপ্রার্থী
বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ ভেরিফিকেশনে উঠে আসছে অবাক করা ছবি। যোগ্যতামান সংক্রান্ত ভুল দাবি করছেন, এমন প্রায় সাড়ে তিনশো প্রার্থী চিহ্নিত হয়েছেন ইতিমধ্যে। শুধুমাত্র বাংলা এবং ইংরেজিতেই সংখ্যাটা দু’শোর উপরে বলে জানান এসএসসির এক কর্তা। এঁদের সিংহভাগই বাতিল হয়ে যাবেন বলে জানা যাচ্ছে এসএসসি সূত্রে।
অনলাইন আবেদনে অনেকেই শিক্ষাগত যোগ্যতা, সংরক্ষণের ক্যাটিগরি, লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ভুল দিয়েছেন। তবে সবচেয়ে বেশি ভুল রয়েছে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতায়। স্থায়ী সহকারী শিক্ষক বা উচ্চ মাধ্যমিকের স্থায়ী চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক (সাবস্ট্যানটিভ পোস্ট) হিসেবে কাজ না করলেও সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আবেদন করেছেন অনেকে। তবে, এসএসসি সেটা গ্রাহ্য করছে না। এক্ষেত্রে যদি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বাদ দিয়েও মোট নম্বর কাট-অফের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে তিনি সুযোগ পাবেন। তবে সেই সম্ভাবনা অনেক কম থাকার ফলে তাঁরা কার্যত বাতিলই হচ্ছেন। কারণ, ১০ নম্বর বাতিল হওয়ায় প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, অন্যান্য তথ্যের ক্ষেত্রেও এটা ঠিক। ভুল তথ্য দিলে যদি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর নম্বর যদি কাট-অফ বা তার বেশি থাকে, তাঁকে বাদ দেওয়া হবে না। যদিও এ ধরনের ভুল তথ্য দেওয়ায় গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াই পিছিয়ে যাচ্ছে। ফের যোগ্য প্রার্থীদের ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকতে হবে। সব মিলিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের যে লক্ষ্যমাত্রা সুপ্রিম কোর্ট বেঁধে দিয়েছে, তার মধ্যে নিয়োগ শেষ হবে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে রাজ্যকে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বাড়তি সময় চাইতে হবে। আর বাড়তি সময় পেলেও ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ না পাওয়া যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকদের ৩১ ডিসেম্বরের পরে বেতনহীন হয়েই থাকতে হবে। তাই তাঁদের দ্রুত নিয়োগের চাপ এসএসসির উপরে রয়েছেই। সোমবার নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হচ্ছে। তাঁদের নিয়োগের ক্ষেত্রে সময় আরও বেশি লাগবে।