• নজরে গ্রামের স্থানীয় সমস্যা, খাতা খোলার আশায় সিপিএম
    বর্তমান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভোটের আগে সিপিএমের মেগা কর্মসূচি ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’। এর মাধ্যমে গ্রামীণ গ্রামবাংলার দিকে ফোকাস করতে চাইছে বামেরা। ২৯ নভেম্বর কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হচ্ছে যাত্রা। শেষ হবে ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে। যাত্রা শেষে পরের দিন আসবেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এম এ বেবি। মূল যাত্রা পথে বাদ যাচ্ছে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা সহ বেশ কিছু জেলা। সেইসব জেলা কি আলিমুদ্দিনের বঞ্চনার শিকার? নেতৃত্ব বলছেন, একেবারেই নয়। 

    এ প্রশ্নে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের বক্তব্য, ‘বঞ্চনার প্রশ্ন নেই। পরিকল্পনা এভাবেই হয়। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ইত্যাদি জেলায় যাত্রা হবে। আবার পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া কানেক্ট করবে। এটাকেই বলে নিবিড় যাত্রা। স্থানীয় লোকাচার, সংস্কৃতির উপর আমরা জোর দিচ্ছি। সেখানকার ইশ্যুগুলিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।’ নেতাদের অনেকে মনে করছেন, আলিমুদ্দিন ভোটে সম্ভাবনা থাকা বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে পাখির চোখ করে প্রচারে নামতে চাইছে। বিধানসভায় খাতা খোলার আশায় স্থানীয় বিষয়গুলি নিয়ে ছকভাঙা প্রচার চাইছে  আলিমুদ্দিন। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে যাত্রা হবে। বাস, বাইক ও পায়ে হেঁটে হবে পথচলা। স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কোথাও যোগ দেবেন মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সৃজন ভট্টাচার্যর মতো নেতা। মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘আমরা মূল যাত্রা বা শাখা যাত্রা এমন কিছু বলছি না। নানা মাধ্যমে নানা পথে যাত্রা হবে। যখন নদীয়ায় চলবে তখন পূর্ব বর্ধমানেও হবে। আবার নবদ্বীপে এসে সেটা মিশবে। এভাবেই চলবে।’ ১৭ তারিখ সিঁথি থেকে পদযাত্রা করবে কলকাতা জেলা। 
  • Link to this news (বর্তমান)