‘এই ওটা কী?’ খেলতে গিয়ে পায়ে পায়ে দুই নাবালক এগিয়ে গিয়েছিল তৃণমূল কার্যালয় এবং ক্লাবের পাশে পুকুরের ধারে। তাদের একজন বলের মতো দেখতে গোলাকার বস্তুটি হাতে তুলে নিয়ে নাড়াচাড়া করতেই বিকট শব্দ! ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারপাশ! কিশোরের চিৎকারে দৌড়ে এলেন স্থানীয়েরা। আবার পড়ে থাকা বোমা ফেটে জখম হল এক নাবালক। এ বার ঘটনাস্থল বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার দুপুরে পুরন্দরপুরে বান্ধব সমিতি ক্লাব এবং তৃণমূলের ব্লক কার্যালয় সংলগ্ন পুকুরপাড়ে বিস্ফোরণ হয়। বোমা ফেটে জখম হয় মঙ্গল অঙ্কুর নামে ১২ বছরের একটি ছেলে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নাবালকের বাবা বলেন, ‘‘খেলতে গিয়েছিল। বাচ্চা ছেলে তো, কী পড়ে আছে দেখে কৌতূহল হয়েছিল। পরে জানলাম, বোমাকে বল ভেবে কুড়িয়ে নিয়েছিল ও।’’ তিনি জানান, বিস্ফোরণে ছেলের ডান হাতের দুই আঙুল উড়ে গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন সে।
সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিক ভাবে শোরগোল এলাকায়। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির একে অপরকে দোষারপের পালা। বিজেপি বলছে, তৃণমূল কার্যালয় লাগোয়া এলাকায় কী ভাবে বোমা পড়ে ছিল, তার তদন্ত হওয়া উচিত। পাল্টা তৃণমূলের দাবি, এটা কোনও দুষ্কৃতীর কাজ হবে। এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। দুই পক্ষই নাবালকের জখম হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে।
স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট এলাকায় এর আগেও বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। তা ছাড়া রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে মারামারি অহরহ হয়। কী ভাবে এবং কোথা থেকে ওই বিস্ফোরক এল, আরও বোমা আছে কি না, খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিউড়ি থানার পুলিশ।