• একটানা ১০ দিন, ‘ভীষণ খারাপ’ পর্যায়ে দিল্লির দূষণ, বাড়ছে আতঙ্ক
    প্রতিদিন | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটানা দশ দিন। ‘ভীষণ খারাপ’ খারাপ পর্যায়েই রইল দিল্লির বাতাসের গুণগত মান। রবিবার সকালে দিল্লিবাসীর ঘুম ভাঙল ঘন কুয়াশার মধ্যে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, এদিন সকালে রাজধানীর বাতাসের গড় গুণমান সূচক বা ‘এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স’ (একিউআই) ছিল ৩৮০। তবে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিল জাহাঙ্গিরপুরীর। সকাল ৭টা নাগাদ সেখানে একিউআই ছিল ৪৩৮।

    একদিকে ধোঁয়াশার ঘনত্ব, অন্যদিকে বায়ুর গতিবেগ একেবারে মৃদু- যার ফলে দূষণ লাফিয়ে বাড়ছে বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। এই অবস্থায় শোনা যাচ্ছে, দূষণ রুখতে আরও কঠোর বিধিনিষেধ কার্যকর হতে চলছে দিল্লিতে। কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (সিএকিউএম) দূষণ নিয়ন্ত্রণে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি)–এর নিয়ম সংশোধন করেছে, যাতে করে আরও বেশি কর্যকর পদক্ষেপ করা যায়। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড-এর তথ্য অনুযায়ী, রবিবার সকালে দিল্লির বাওয়ানা এলাকায় বাতাসের গুণমান সূচক ছিল ৪৩১, আনন্দ বিহারে ৪২৭ এবং আশোক বিহারে ৪২১।

    রাজধানী দিল্লিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চার স্তরীয় পরিকল্পনা রয়েছে ‘কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট’ (সিএকিউএম)-এর। একেই বলে ‘গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান’ (জিআরএপি)। দিল্লিতে বাতাসের গুণমান ‘খারাপ’ হলে জিআরএপি-১ চালু করা হয়। এই সময় রাস্তায় মাঝেমধ্যে জল ছেটানো হয়। খোলা জায়গায় বর্জ্য পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়। দূষণের মাত্রা অনুযায়ী ধাপে ধাপে জিআরএপি এক, দুই, তিন সংখ্যা বাড়ে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হয়।

    বর্তমানে রাজধানীতে জারি রয়েছে জিআরএপি-৩। যদিও পরিস্থিতি বিচার করে জিআরএপি-৪ বিধিনিষেধ জারির কথা ভাবছে  সিএকিউএম। সিএকিউএম জানিয়েছে, দিল্লি ও এনসিআর–এর রাজ্য সরকারগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—সরকারি, পৌরসভা ও বেসরকারি দপ্তরের ৫০ শতাংশ কর্মী অফিসে উপস্থিত থাকবে কি না, বাকিদের বাড়ি থেকে কাজের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা। কেন্দ্রীয় সরকারও তাদের কর্মীদের জন্য বাড়ি থেকে কাজের বিষয়ে আলাদা সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সিএকিউএম নির্দেশ দিয়েছে, এনসিআরের সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সংশোধিত জিআরএপি–এর নতুন নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)