চলছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের আবেদন পত্র পূরণ করে জমা দেওয়ার পর্ব। জমা দেওয়ার দিন যত শেষ হয়ে আসছে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে গ্রামীণ এলাকায় যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে।
রাজ্যের শাসকদলের উদ্যোগে বিভিন্ন অঞ্চলে, পুর এলাকায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোলা হয়েছে সহায়তা শিবির। দলের কর্মী, জনপ্রতিনিধিদের একাংশ সেখানে আবেদন পত্র পূরণ করার কাজে সহায়তা করছেন। কংগ্রেস, সিপিএম সহ একাধিক রাজনৈতিক দলের তরফেও বিভিন্ন এলাকায় খোলা হয়েছে সহায়তা শিবির। প্রতিটি শিবিরেই ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তবে এগিয়ে আসছেন এলাকার সাধারণ শিক্ষিত যুবকেরাও। তাঁরা কোনও দলের হয় নয়, নিজেদের ইচ্ছেতেই সাহায্য করছেন মানুষকে। হরিহরপাড়ার শ্রীপুর গ্রামের যুবক মুকুল মণ্ডল বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে পাড়ার অনেক মানুষ আবেদন পত্র পূরণ করার জন্য বাড়িতে আসছেন। সাধ্য মতো চেষ্টা করছি নির্ভুল ভাবে আবেদনপত্র পূরণ করে দেওয়ার।”
আবেদন পত্র পূরণ করার কাজে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন ক্লাব, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও। হরিহরপাড়ার ডল্টনপুর মিত্র সঙ্ঘ ক্লাবের তরফে ক্লাবেই খোলা হয়েছে সহায়তা শিবির। সেখানে ক্লাবের সদস্যেরা আবেদন পত্র পূরণ করছেন। ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা সাহাবুল ইসলাম বলেন, “আমরা আবেদন পত্র পূরণ করছি। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষ ভিড় করছেন।” হরিহরপাড়ার শ্রীপুর নামুপাড়া স্মৃতি সঙ্ঘ ক্লাবের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের আবেদন পূরণ করছেন। আবেদন পত্র পূরণ করার কাজে দেখা যাচ্ছে পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মীদেরও। নওদার পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মীদের এক সুপার ভাইজার আনন্দ হালসানা বলেন, “অনেকে আবেদন পত্র পূরণ করার জন্য বলছেন। কাজের ফাঁকেই আমরা অনেকের আবেদনপত্র পূরণ করছি।”
আবেদন পত্র নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন একাংশের পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের লোকেরা। পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সাংসদ সামিরুল ইসলামের কিছু স্বেচ্ছাসেবী জেলার বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে পরিযায়ী শ্রমিক ও এলাকার সাধারণ মানুষের আবেদন পত্র পূরণ করে দিচ্ছেন। শামিম রহমান নামে এক স্বেচ্ছাসেবী বলেন, “সাংসদের নির্দেশে আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকেদের আবেদন পত্র পূরণের কাজে সহায়তা করছি।’’