নায়ক-নায়িকার কলহ দুঃখজনক, এখন এমনিতেই দু’তিন মাসে মেগা বন্ধ হচ্ছে, কী ইঙ্গিত শান্তিলালের?
আনন্দবাজার | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর ‘ভবিতব্য’ কী? চিত্রনাট্য যেমন নায়ক-নায়িকা আর্য সিংহ রায়-অপর্ণাকে আলাদা হতে দেবে না, বাস্তব পরিস্থিতিও কি তেমনই হবে?
রবিবার রাতে সেই খবর জানা যাবে, আনন্দবাজার ডট কম-কে জানিয়েছেন আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়।
খবর, শনিবার প্রযোজনা সংস্থা, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, জীতু কমল, দিতিপ্রিয়া রায়কে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করে আর্টিস্ট ফোরাম। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কোষাধ্যক্ষ সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও দুই সদস্য। দফায় দফায় বৈঠক হলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, জানিয়েছেন শান্তিলাল। তাঁর কথায়, “রবিবার রাতে আরও একবার বৈঠক হবে। এ দিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপও জানিয়েছেন তিনি। সংগঠনের সম্পাদকের মতে, “ইদানীং এমনিতেই দু’তিন মাসে ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিক সেখানে অল্প সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। রেটিং চার্টেও ভাল ফলাফল তার।” দর্শকও উদগ্রীব ধারাবাহিকের জন্য। সেখানে নায়ক-নায়িকার নিরন্তর কলহ একটি ‘ভাল’ ধারাবাহিককে বন্ধ করে দেওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে! এটা একেবারেই কাম্য নয়, বক্তব্য তাঁর। শান্তিলাল আরও বলেন, “জীতু-দিতিপ্রিয়া উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। উভয়কেই একাধিক সমাধানসূত্র দেওয়া হয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।”
শান্তিলালের আশ্বাস, আর্টিস্ট ফোরাম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইতিবাচক পদক্ষেপ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। নায়ক-নায়িকা যাতে একসঙ্গে শট দেন, কেউ যেন ধারাবাহিক ছেড়ে বেরিয়ে না যান—দেখবেন তাঁরা। শান্তিলালের মতে, “দর্শক কিন্তু জীতু বা দিতিপ্রিয়া -- একজনকে বাদ দিয়ে আর একজনকে চান না। আমরাও সেটাই চাইছি।” এই প্রসঙ্গে মহিলা কমিশনের সভাপতি লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নতুন করে কোনও অভিযোগ নিয়ে দিতিপ্রিয়া আর তাঁদের কাছে আসেননি। ফলে, নতুন করে কোনও কথা হয়নি তাঁদের সঙ্গে।
প্রকৃত সমস্যা কী? কেন বারেবারে কলহে জড়িয়ে পড়ছেন জীতু-দিতিপ্রিয়া?
প্রশ্ন ছিল ফোরামের সম্পাদকের কাছে। শান্তিলাল এখনই সবিস্তার কিছু জানাতে চাননি। তবে সমাজমাধ্যমে যে ভাবে নায়িকাকে হেনস্থা করা হচ্ছে, তাতে তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। ধারাবাহিকে দিতিপ্রিয়ার অভিনয় করতে না চাওয়ার এটিও একটি অন্যতম কারণ।