আজকাল ওয়েবডেস্ক: চোর সন্দেহ। ব্যাপক মারধর। মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ। মৃত্যু যুবকের। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার তিন।
ঘটনাটি ঘটেছে মালদহ শহরের ইংলিশ বাজার থানার ইংলিশবাজার নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতিতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে সংশ্লিষ্ট বাজারের লোকজন শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মহিশ মাটি এলাকার বাসিন্দা, সামজান শেখকে বেধড়ক মারধর করেন। মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা চলাকালীন রাত্রে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার এবং প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সামজান শেখ এলাকায় ভাল মানুষ হিসাবে পরিচিত। তাঁর এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ায় তাঁর উপরে নির্ভরশীল ছিল তাঁর গোটা পরিবার।
মালদহ শহরের ঝলঝলিয়া এলাকায় একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। চুরি না করেও তাঁকে চোরের অপবাদ দিয়ে মারধর করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। পুলিশের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছে পরিবার। এদিকে এই ঘটনার তদন্ত নেমে পুলিশ ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা হলেন, পিন্টু মণ্ডল, সুজন ঘোষ এবং দেবাশীষ ঘোষ। তাঁদের আজ মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়।
দিনকয়েক আগেই চোর সন্দেহে মারধরের অপর এক ঘটনা সামনে আসে। শুধুমাত্র সন্দেহের জেরে পিটিয়ে খুন। ফোন হ্যাক করা এবং বিরল কয়েন চুরির সন্দেহে দুই ভাড়াটিয়াকে মারধরের অভিযোগ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা, ৩১ বছরের ইরশাদ। পুলিশ জানতে পেরেছে, জিম করার জন্য তিনি 'টার্মিন ইনজেকশন' নামে এক ধরনের মাদক (বা স্টেরয়েড) নিতেন। ঘটনার দিনও তিনি সেই মাদক ব্যবহার করেছিলেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার ভীষম সিং জানিয়েছেন, গত ৯ নভেম্বর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সেদিন তামান্নে নামে ওই আহত ব্যক্তি কয়েক জন পরিচিতকে নিয়ে থানায় আসেন। অভিযোগ করেন যে তাঁর বাড়িওয়ালা তাঁকে মেরেছেন। তবে থানায় আসার পরেই তামান্নে জ্ঞান হারাতে শুরু করেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই যুবক শাকূরপুরে ভাড়া থাকতেন। লরেন্স রোডের একটি কারখানায় কাজ করতেন।