এসআইআর-এর কাজ করতে গিয়ে ফের অসুস্থ এক বিএলও, এবার সুভাষগ্রামে
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
এসআইআরের কাজ করতে গিয়ে ফের অসুস্থ আরও এক বিএলও। রাজপুর-সোনারপুরের সুভাষগ্রাম এলাকার ঘটনা। শনিবার রাতে এক বিএলও কাজ করতে করতে মাথা ঘুরে পড়ে যান। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিএলও-র নাম তনুশ্রী হালদার নাইয়া। রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিএলও-র দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে বুথে বসে এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে কাজ করছিলেন। হঠাৎ মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বুথে উপস্থিত সহকর্মীরা তাঁকে সুভাষগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়।
দিনরাত এসআইআর-এর কাজ করতে হচ্ছিল বলে অভিযোগ করছেন বিএলও তনুশ্রীর পরিবারের সদস্যরা। তনুশ্রীর স্বামী হীরালাল হালদার জানিয়েছেন ‘কাজের খুব চাপ। দিনরাত ওকে কাজ করতে হচ্ছিল। রাতও জাগছিল। এত চাপ ও নিতে পারছিল না। বার বার বলছিল, ‘পারব না পারব না’। কাজের চাপেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে।’ রক্তচাপ ও কিছু শারীরিক অসুস্থতা তনুশ্রীর ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী হীরালাল। বারুইপুর হাসপাতাল সূত্রে খবর তনুশ্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।
শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরেও একই ঘটনা ঘটেছিল। হরিনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর বুথের বিএলও কমলপদ নস্কর বিকেলে বাড়ি বাড়ি এসআইআর-এর ফর্ম সংগ্রহ করে ফেরার পথে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান। আপাতত তিনিও হাসপাতালে ভর্তি। এসআইআর-এর অতিরিক্ত কাজের চাপে কমলপদ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পরিবারের।
শনিবারই নদিয়ার চাপড়ায় ফের এক বিএলও আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করেছেন তিনি। বিএলও-র মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডলে পোস্টও করেন। তার আগে এসআইআর স্থগিত করার জন্য কমিশনকে চিঠিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই চিঠির উত্তর দেয়নি কমিশন।
শুক্রবার একটি বৈঠকে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল বলেছিলেন, ‘নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, ফলে চাপ তো একটু আছেই। পাশের রাজ্য বিহারেও তো এসআইআর হয়েছে। আমরা পারব না, এমন নয়।‘ তিনি আরও বলেন, বুথে সর্বোচ্চ ভোটারসংখ্যা ১২০০ হলেও অধিকাংশ বুথেই গড় ভোটারসংখ্যা প্রায় ৮০০। ফলে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করেই কাজ করতে হবে।