পিয়ালী মিত্র: কসবার এক হোটেলে সিএ-এর রহস্যমৃত্যু। পুলিস আদর্শের লোসালকার নামে ওই ব্যক্তির পা বাধা এবং বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করে। তদন্তে জানা যায়, আদর্শের সঙ্গে আরও দুজন ওই হোটেলে আসে। কিন্তু তারা বেপাত্তা। রবিবার ওই যুগল নিজেই থানায় এসে আত্মসমর্পন করে। অভিযুক্ত ছেলেটির নাম ধ্রুব মিত্র এবং মেয়েটি কমল সাহা।
জানা যায়, ডেটিং অ্যাপ থেকে আদর্শের সঙ্গে তাদের আলাপ। ঘটনার দিন অর্থাত্ শুক্রবার তাদের প্রথম আলাপ হয়। তিন জনের মধ্যে বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। মেঝেতে পড়ে যান আদর্শ। জেরায় ধৃতরা দাবি করেছে, আদর্শ মেঝেতে পড়ে যাওয়ার পর তার নাক থেকে রক্ত বেরোতে দেখে তারা হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। পা বাধার কারণ হিসেবে ধৃতদের দাবি আদর্শ যাতে উঠে গিয়ে আবার ওদের মারধর করতে না পারে সেজন্য পা বেঁধে দিয়েছিল।
তদন্তে আগেই জানা গিয়েছিল, অনলাইনে হোটেল রুম বুক করা হয়েছিল। রুমটি নিহত যুবকই বুক করেন অনলাইনে। আদর্শের মোবাইল পাওয়া যায়নি ঘর থেকে।
দুটো রুম বুক করা হয়েছিল। সিসিটিভি সূত্রে দেখা যায়, রাত আড়াইটা নাগাদ ধ্রুব এবং কমল হোটেল থেকে বেরিয়ে হেঁটে চলে যাচ্ছে
পরদিন দুপুরে চেক আকউট না করায় হাউস কিপিং রুমে গিয়ে দেখে বিবস্ত্র এবং পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে আদর্শ। গলায় লিগেচার মার্ক অর্থাত্ ফাঁসের দাগ পাওয়া গিয়েছে। ফলে শ্বাসরুধ করে খুন বলে অনুমান। আরও জানা যায়, গতকাল দুপুর আড়াইটা নাগাদ আদর্শের নম্বরটি হোয়াইটস সব গ্রুপ থেকে লেফ্ট করে যায়। ঘরে ভিতর থেকে মিলেছে মদের বোতল।
কে এই আদর্শ লোসালকার?
দুবরাজপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাজারপাড়ার বাসিন্দা বিমল কুমার লোসলকার পুত্র আদর্শ লোসলকার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় কলকাতার কসবা থানার অন্তর্গত একটি হোটেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আদর্শ লোসলকা কলকাতার PWC কোম্পানিতে বিগত দেড় বছর ধরে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টের কাজ করতেন। আদর্শ লোসলকার পড়াশোনা দুবরাজপুরের শ্রীশ্রী সারদা বিদ্যাপীঠ। তারপর উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় পড়াশোনা। কসবা থানার পুলিস একটি হোটেল থেকে আদর্শ লোশলকার মৃতদেহ উদ্ধার করে। কসবা থানার পুলিস দুবরাজপুর থানায় খবর দেয়। তারপর দুবরাজপুর থানার পুলিসের পক্ষ থেকে আদর্শ লোসলকার পরিবার পরিজনদের জানানো হয়। খবর চাউর হতেই পরিবার-পরিজন ও এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।