• চণ্ডীগড় সংক্রান্ত বিল এখনও ‘বিবেচনাধীন’! উত্তাল রাজনৈতিক বিরোধিতার মাঝেই জানাল সতর্ক কেন্দ্র
    প্রতিদিন | ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চন্ডীগড় নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের পথে কেন্দ্রীয় সরকার। পেশ করতে চলেছে ভারতীয় সংবিধানের ১৩১তম সংশোধনী বিল। ইতিমধ্যেই আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস ও অকালি দল এই পদক্ষেপের নিন্দা করেছে। এবার বিরোধীতার মুখেই পিছু হঠল কেন্দ্রীয় সরকার।

    কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়কে সংবিধানের ২৪০ অনুচ্ছেদের আওতায় আনার কথা ভাবছে সরকার। এই খবর সামনে আসার পরেই পাঞ্জাবে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। এই অবস্থায় শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই সম্পর্কে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে।

    পিআইবি-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এক্স হ্যান্ডেলে একটি অফিসিয়াল পোস্টে জানিয়েছে, চণ্ডীগড়ের জন্য কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া সহজ করার প্রস্তাবটি ‘এখনও বিবেচনাধীন’। এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবে চণ্ডীগড়ের বর্তমান শাসন ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা বা পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার সঙ্গে এর ‘সম্পর্ক’ পরিবর্তন করার কোনও ইচ্ছা নেই। সেখানে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবটির মূল কারন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া সহজ করা। এটি এখনও কেন্দ্রীয় সরকার বিবেচনা করছে, কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

    সংসদের আগের বুলেটিন অনুসারে, এই বিলের উদ্দেশ্য চণ্ডীগড়কে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৪০-এর অন্তর্ভুক্ত করা। ফলে দাদরা ও নগর হাভেলি, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দমন ও দিউ এবং পুদুচেরির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সমতুল প্রশাসন কার্যকর হবে চণ্ডীগড়ে। ফলে রাষ্ট্রপতি চণ্ডীগড়ের জন্য নিয়মকানুন তৈরির ক্ষমতা পাবেন। বর্তমানে রাজ্যপালই চণ্ডীগড়ের শাসক।

    কেন্দ্রের পদক্ষেপের কথা জানতে পেরে তাই ক্ষুব্ধ পাঞ্জাবের রাজনৈতিক মহল। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “চণ্ডীগড় তৈরির জন্য আমাদের গ্রামগুলি ধ্বংস করা হয়েছিল। এর উপর কেবল পাঞ্জাবেরই অধিকার রয়েছে। আমরা হাল ছাড়ব না এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।” আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলছেন, “ইতিহাস সাক্ষী, পাঞ্জাবিরা কখনও স্বৈরশাসনের কাছে মাথা নত করেনি। এবারও তা করবে না। চণ্ডীগড় পাঞ্জাবের ছিল, আছে এবং থাকবে। পাঞ্জাব সর্বদা দেশের নিরাপত্তা, শস্য এবং জলের জন্য আত্মত্যাগ করেছে। অথচ তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।” পাঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজাও প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)