সুবীর দাস, কল্যাণী: রাজ্যের একাধিক পুরসভায় নেতৃত্ব বদল নিয়ে ডামাডোল চলছে বলে অভিযোগ। উপরমহলের নির্দেশে অনেক পুরসভাতেই বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। তার মধ্যেই এবার নাগরিক পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে চাকদহ পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করা হল। নোটিস পাঠাল পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
গত ১৭ নভেম্বর চাকদহের বিভিন্ন স্কুল ও ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রধানদের স্বাক্ষরিত একটি বিস্তৃত অভিযোগপত্র পুরদপ্তরে জমা পড়ে। এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। গুরুত্ব সহকারে অভিযোগ পর্যালোচনা করে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। কালবিলম্ব না করে চাকদহ পুরসভার ২১ জন কাউন্সিলরকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
নাগরিকদের অভিযোগে বলা হয়েছে, শহরের বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ২১টি ওয়ার্ডের রাস্তাঘাট জুড়ে জমে থাকছে নোংরা আবর্জনা। সেসব থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ। নিকাষি ব্যবস্থা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। ড্রেন বহুদিন পরিষ্কার না হওয়ায় নোংরা জল ও জঞ্জালে ভরে উঠেছে নিকাশি ব্যবস্থা। পাশাপাশি শহরের একাধিক রাস্তা ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে রয়েছে! ফলে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় প্রতিদিনই সমস্যায় পড়ছেন ছাত্রছাত্রী, কর্মজীবী মানুষ ও যানবাহনের চালকরা। টোটো-ভ্যান নিয়ন্ত্রণে অব্যবস্থাপনা মানুষের যাতায়াতকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। পুরসভার সিআইসি মৌমিতা ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, উন্নয়নের কাজের কারণে কিছু দেরি হচ্ছে এবং অভিযোগগুলির পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দপ্তরের শোকজের যথাসময়ে জবাব দেওয়া হবে।