শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: রোহিঙ্গা অপবাদ দিয়ে সুপারি ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র নিয়ে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। হামলার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হঠাৎ রোহিঙ্গা সন্দেহে কেন একজনের উপর এভাবে হামলা, তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ধূপগুড়ি বারোঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেমটিয়া এলাকার বাসিন্দা লিটন হোসেন। তিনি ও তাঁর এক বন্ধু এলাকার বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাঁচা সুপারি কিনছিলেন। সেই সময় হঠাৎই নেতাজি পাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রণব দেবনাথ ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালান বলে অভিযোগ। সুপারি ব্যবসায়ীর সাইকেল ফেলে দেওয়া হয়। আরও অভিযোগ, তাঁদের ‘রোহিঙ্গা’ বলে অকথ্য গালিগালাজও করা হয়। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালাতে বাধ্য হন লিটন। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’।
আচমকা এই হামলা থেকে কোনওক্রমে বেঁচে ধাতস্থ হওয়ার পর ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন লিটন হোসেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ভাইরাল ভিডিও থেকে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে চাইছে, কী কারণে হঠাৎ রোহিঙ্গা বলে ওই সুপারি ব্যবসায়ীর উপর হামলা চালানো হল? কেনই বা রোহিঙ্গা বলা হচ্ছে? তেমন কোনও তথ্য বা নথি অভিযুক্তের কাছে রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা। তবে এই ঘটনায় বেশ আতঙ্কের পরিবেশ ভেমটিয়া গ্রামে। এসআইআর আবহে ‘অবৈধ বাংলাদেশি’রা এ রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, বিভিন্ন সীমান্তে তাঁদের জমায়েতই তার প্রমাণ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে যিনি গ্রামেই রয়েছেন, তাঁকে ‘রোহিঙ্গা’ তকমা দিয়ে হামলার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।